Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডিসেম্বর নয়, নভেম্বরেই ওমিক্রন শনাক্ত হয় বাংলাদেশে

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৭ জানুয়ারি ২০২২ ২৩:৩৯

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (বিএ.১ লিনেজ) প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় গত ৬ ডিসেম্বর সংগ্রহ করা দুইটি নমুনায়। সরকারিভাবেই এই তথ্য জানানো হয়েছিল। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নমুনা সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। গত ১৪ নভেম্বর সংগ্রহ করা একটি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়েও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। অর্থাৎ ডিসেম্বর নয়, গত নভেম্বর মাসেই দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট জিনব্যাংকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ওয়েবসাইটে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের তথ্য প্রকাশিত করা হয়। বিএসএমএমইউয়ে সিকোয়েন্সিং করা সেই নমুনাটি সংগ্রহ করা হয়েছিল গত ১৪ নভেম্বর।

ওয়েবসাইটের তথ্য আরও বলছে, ১৪ নভেম্বরই কেবল নয়, এর পরে সংগ্রহ করা আরও নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়েও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পেয়েছে বিএসএমএমইউ।

আরও পড়ুন-

বিএসএমএমইউ থেকে অবশ্য এখনো এই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) এসব জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফল ঘোষণা করবেন প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।

এর আগে, গত ১১ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, জিম্বাবুয়ে ফেরত দুই নারী ক্রিকেটারের শরীরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। তাদের কোভিড-১৯ সংক্রমণ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলাফলে ওমিক্রনের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজনের বয়স ২১, অন্যজনের ৩০।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) ওই দুই নমুনার সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য আপলোড করেছিল জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের বৈশ্বিক ডাটাবেজ জিএসএআইডি-তে। তাতে জানানো হয়, ৬ ডিসেম্বর নমুনা দুইটি সংগ্রহ করা হয়েছিল। বিএসএমএমইউয়ের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য পাওয়ার আগ পর্যন্ত সেটিকেই দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রথম উপস্থিতি হিসেবে মনে করা হচ্ছিল।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, বিশ্বে সর্বপ্রথম ২ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সংগ্রহ করা একটি নমুনার সিকোয়েন্সিংয়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। তবে এই সিকোয়েন্সিং ফল জিআইএসএইডে আপলোড করা হয় ২৯ ডিসেম্বর। জিআইএসএইডে সর্বপ্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি আপলোড করা হয় ২২ নভেম্বর। হংকং থেকে ১৩ নভেম্বর সংগ্রহ করা একটি নমুনায় এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ বলে ঘোষণা দেয়।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

ওমিক্রন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট করোনাভাইরাস জিনোম সিকোয়েন্স

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর