‘আরেকটি অনুগত ইসি গঠনের জন্য সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে’
২৩ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:২২
ঢাকা: আরও একটি অনুগত নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করতেই সরকার জাতীয় সংসদে নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত বিল উত্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
তিনি বলেন, অনুগত নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সংসদে নির্বাচন কমিশন বিল উত্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বিলে অতীতের সব সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় অন্যায় ও অপরাধমূলক কাজকে দায়মুক্তির প্রস্তাব অনৈতিক ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থি। বিতর্কিত বিল প্রত্যাহার করে সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক উদ্যোগ নিন, নিজেদের সদিচ্ছা প্রমাণ করুন।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন একাদশ জাতীয় সংসদের চলমান ষোড়শ অধিবেশনে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রনয়ণে বিল উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
আরও পড়ুন-
সংসদে ইসি বিল: বৈধতা পাচ্ছে আগের সব নির্বাচন কমিশন
এই বিলটি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতিতে সাইফুল হক বলেন, সরকার ও সরকারি দলের অনুগত আরেকটি নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্যই এই বিল পেশ করা হয়েছে। হুদা কমিশন ও রকিব কমিশনের মত অকার্যকর, অথর্ব ও মেরুদণ্ডহীন নতুন একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের দুর্বুদ্ধি থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইনমন্ত্রী উত্থাপিত এই বিলে বস্তুত সরকারের পছন্দের সার্চ কমিটিকে আইনি পোশাক পরানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগ ‘থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়’-এর মতোই।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বলেন, প্রস্তাবিত বিলে এর আগে গঠিত সার্চ কমিটি ও এর মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশন ও তাদের যাবতীয় অন্যায় ও অবৈধ তৎপরতাকে যেভাবে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তা অস্বাভাবিক, অনৈতিক ও ন্যায় বিচারের পরিপন্থি। এই বিল পাস হলে সংক্ষুব্ধ মানুষ তাদের অধিকার হরণের বিরুদ্ধে কোনো আদালতে যেতে পারবে না।
বিবৃতিতে সাইফুল হক বলেন, যেভাবে অস্বাভাবিক তড়িঘড়ি করে এই বিল পাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে এর ওপর বাস্তবে রাজনৈতিক দল, অংশীজন ও জনগণের মতামত প্রকাশ ও তা বিবেচনায় নেওয়ার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।
এই বিল নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচনকেন্দ্রিক গভীর সংকটের কোনো সমাধান করবে না, বরং সামগ্রিক সংকট আরও ঘনীভূত করবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
তিনি বলেন, গোটা সংকটটি রাজনৈতিক। সে কারণে সরকারকে রাজনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে মতৈক্যের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন কমিশন, সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকারসহ সামগ্রিক বিষয়ে সমঝোতা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসা প্রয়োজন। এই বিল প্রত্যাহার করে রাজনৈতিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠায় সরকার ও সরকারি দল তাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রমাণে প্রথম পদক্ষেপ নিতে পারে।
সারাবংলা/এএইচএইচ/টিআর
ইসি আইন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন কমিশন আইন নির্বাচন কমিশন গঠন আইন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সংসদে বিল উত্থাপন