Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গণহত্যা দিবস: বিচারের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৪ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:২৭

ছবি: সারাবাংলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ‘চট্টগ্রাম গণহত্যা’ দিবসে সামরিক শাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে আত্মাহুতি দেওয়া রাজনৈতিক কর্মীদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)সহ বিভিন্ন সংগঠন।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের প্রবেশপথে গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে নির্মিত বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ উপলক্ষে সভায় তারা উচ্চ আদালতে দ্রুত নিষ্পত্তি করে গণহত্যার বিচারের রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সামরিক শাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম লালদিঘীর ময়দানে যাবার পথে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি চালালে নিহত হন ২৪ জন। আহত হন কমপক্ষে দু’শতাধিক মানুষ। শেখ হাসিনার প্রাণনাশের চেষ্টা হিসেবে আলোচিত ঘটনাটি ‘চট্টগ্রাম গণহত্যা’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

এরশাদের পতনের পর ১৯৯২ সালে এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনার ৩২ বছর পর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি আদালত মামলার রায় ঘোষণা করে। তবে ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে আলোচিত তৎকালীন পুলিশ কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদা মৃত্যুবরণ করায় মামলা থেকে অব্যাহতি পান। ‘হুকুমদাতা’ কোতোয়ালী থানার তৎকালীন পেট্রল ইন্সপেক্টর পলাতক গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডলের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়। একইসঙ্গে কারাগারে থাকা আরও চারজন তৎকালীন পুলিশ কনস্টেবলের প্রাণদণ্ডের আদেশ হয়। এরা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান, প্রদীপ বড়ুয়া, শাহ মো. আব্দুলাহ এবং মমতাজ উদ্দিন।

সকালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় এক সভায় নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘১৯৮৮ সালে আজকের দিনটিতে ২৪টি মূল্যবান প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল সামরিক স্বৈরশাসকের বাহিনী। স্বৈরশাসক বিদায় নিয়েছিল, কিন্তু গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে নানাভাবে বিচারে বিলম্ব হয়েছে। ৩২ বছর পর গণহত্যার বিচারের রায় হয়েছে। আমরা অবিলম্বে বিচারের রায় কার্যকর দেখতে চাই।’

বিজ্ঞাপন

সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘দেশকে বিপন্ন করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে। যতদিন পর্যন্ত অপশক্তিকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে আমরা নির্মূল করতে পারব না, ততদিন এ ষড়যন্ত্র হবে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকতে হবে।’

নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ ও হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, দফতর সম্পাদক সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, শ্রম সম্পাদক আব্দুল আহাদ, নির্বাহী সদস্য বখতিয়ার উদ্দীন খান, মহব্বত আলী খান, পেয়ার মোহাম্মদ, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, বেলাল আহমদ সভায় বক্তব্য রাখেন।

এদিকে গণহত্যায় শহীদদের স্মরণ করে বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা শাখার নেতারা। সিপিবির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা, ফরিদুল আলম ও অমিতাভ সেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এছাড়া জেলা আইনজীবী সমিতিসহ আরও বিভিন্ন সংগঠন শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে।

সারাবাংলা/আরডি/এনএস

গণহত্যা দিবস চট্টগ্রাম গণহত্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর