‘১০০ বছরের ইতিহাসে স্বাস্থ্য খাতের যোগ্য নেতৃত্ব জাহিদ মালেক’
২৫ জানুয়ারি ২০২২ ২৩:২৯
ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে ১০০ বছরের ইতিহাসে স্বাস্থ্যখাতে যোগ্য, দক্ষ ও সার্বক্ষণিকভাবে দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) সভাপতি মুবিন খান। আর এ জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য দেশ হিসেবে সম্মান অর্জন করেছে বলেও মন্তব্য করেন মুবিন খান।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ওমিক্রনের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেসরকারি হাসপাতালের প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় মুবিন খান এসব কথা বলেন।
সভায় দেশের কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সবাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রশংসা করেন। এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ)।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিপিএমসিএ সভাপতি মুবিন খান বলেন, ‘১০০ বছরের ইতিহাসে স্বাস্থ্য খাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মতো এমন দক্ষ ও যোগ্য লোক আসেনি। তিনি যেভাবে সার্বক্ষণিক সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তাতে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ কোভিড নিয়ন্ত্রণে একটি উল্লেখযোগ্য দেশ। বাংলাদেশ এই সম্মান অর্জন করেছে। সেজন্য তার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। যখনই আমরা তাকে কিছু বলি, তখনই তিনি সহযোগিতার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তা দেখেন।’
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় সবচাইতে বড় অ্যাচিভমেন্ট হলো- সবাই যখন খুব উদ্বিগ্ন তখন উনার নির্দেশনায় আমাদের কোনো সেশন ব্রেক হয়নি। এই বলিষ্ট নেতৃত্বের জন্য মাননীয় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’
সভায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ‘আপনারা সবাই দোয়া করবেন, মাননীয় মন্ত্রী যাতে সুস্থ থাকেন এবং আমাদের অভিভাবক হিসেবে যেভাবে সারাদেশের মানুষকে গাইড করছেন সেভাবেই যেন করতে পারেন। কারণ সবকিছুই স্বাস্থ্যের উপর নির্ভরশীল। আপনারা সবাই দোয়া করবেন যাতে তিনি সুস্থ থাকেন।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন বলেন, ‘কোভিড-১৯ শুরু থেকেই মন্ত্রী মহোদয়ের নেতৃত্বে আমরা সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল একসঙ্গে কাজ করেছি। সেটার সুফল আমরা পাচ্ছি। মন্ত্রী মহোদয় সবসময় আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনায় আমরা সবসময় অংশগ্রহণ করেছি।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয় সবসময়েই চেষ্টা করেছেন সবাইকে নিয়ে কাজ করতে। সেই হাত ধরেই আমরা কাজটাকে এগিয়ে নিয়ে গেছি। বরাবরের মতন এবারও মন্ত্রী মহোদয় আমাদের সকলের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি, সুবিধা-অসুবিধা আইডেনটিটিফাই করেছেন। গতকালও উনি আমাদের সঙ্গে সকালে ও বিকেলে বৈঠক করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি এ যাবত কালে এমন কাউকে দেখিনি যিনি সব বিষয়ে জানতে চান। আমরা ভুলে গেলেও উনার ঠিকই মনে থাকে। আমরা মনে করি যে, এমন নেতৃত্বে যদি কাজ করে যাই তবে অবশ্যই ভালো করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উনাকে যে বেছে নিয়েছেন এবং উনার প্রতি আস্থা রেখেছেন সেটার সঠিক প্রমাণ বা বাস্তবতা আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
সভায় বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও আনোয়ার খান মেডিক্যালের প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার খান বলেন, ‘সবার আগে আমি বেসরকারিভাবে কোভিড চিকিৎসা করানোর উদ্যোগ নেই। মন্ত্রী মহোদয় আমাদের সঙ্গে আছেন সেই ভরসা আমরা ছিল।’
বেসরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থায় সবসময় সহযোগিতা করার জন্য সভার সবাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের প্রতি ধন্যবাদ প্রকাশ করেন।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে নিজেরাই আক্রান্ত হন তাদের আইসোলেশন সময় কমানো হবে। এসব স্বাস্থ্যকর্মীরা বর্তমানে ১০ দিন আইসোলেশনে থাকেন। এখন সেটা কমিয়ে পাঁচ থেকে সাত দিনে নামিয়ে আনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় যতগুলো সরকারি হাসপাতাল আছে, সেখানে কোভিড শয্যা আছে চার হাজার। এরই মধ্যে এক হাজার শয্যা পূরণ হয়ে গেছে। সেই হিসাবে ঢাকায় হাসপাতালগুলোর শতকরা ২৫ ভাগ পূর্ণ হয়ে গেছে।’
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়াকে আশঙ্কাজনক বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন যোগ্য নেতৃত্ব সভা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক