নিজ বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষক হলেন ৩৬ নোবিপ্রবিয়ান
২৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:০০
নোবিপ্রবি: নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে পেয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাবেক ৩৬ শিক্ষার্থী। গত ২৪ জানুয়ারি (সোমবার) নোবিপ্রবিতে স্থায়ী এবং অস্থায়ী সব মিলিয়ে মোট ৮৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে সামাজিক বিজ্ঞান ও কলা, বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল অনুষদের মোট ১৩টি বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩৬ জন সাবেক শিক্ষার্থী।
সামাজিক বিজ্ঞান ও কলা অনুষদের অধীনে নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- ইংরেজি বিভাগের হুমায়রা সুলতানা, শাহেরা খাতুন, নুসরাত জাহান অনামিকা এবং অর্থনীতি বিভাগের মো. গোলাম কিবরিয়া, আক্তার ইমাম, ফারিয়ান তাহরিম ভিকি।
বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে নিয়োগ পেয়েছেন অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অতুন সাহা, সুমিতা রানী সাহা, নিক্কন সরকার, সুলতানা রাজিয়া, উদিতি পাল বৃষ্টি।
খাদ্য প্রযুক্তি ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের আসাদুল হাবিব, লিংকন চন্দ্রশীল, মো. নাহিয়ান রহমান, স্বর্ণিমা ঘোষ জুঁই।
ফার্মেসি বিভাগের আব্দুর রহমান শরীফ, আব্দুল বারেক, আব্দুর রহমান রিপন, মাহমুদুল ইসলাম। ফলিত গণিত বিভাগের জামাল উদ্দীন, আব্দুল করিম, জান্নাতুন নাইম।
পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগে নিগার সুলতানা কাকন। মৎস্য ও সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের আফসানা কবির দীপ্তি, জাহানারা আক্তার লিপি। বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফারজানা মিতু, মো. ইয়াসিন মিয়া।
কৃষি বিভাগের সাবিয়া খান প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
প্রকৌশল অনুষদের অধীনে ফলিত রসায়ণ ও কেমিকৌশল বিভাগের আব্দুস সামাদ আজাদ, খোদেজা আফরিন মুন্নী, কানিজ ফাতেমা জিতু ও ফারিয়া আফরোজ। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নিয়োগ পেয়েছেন মো. হাসান ইমাম ও শারমিন আক্তার মিলু এবং মাহবুবুল আলম নাইম।
একই বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, ‘সত্যিই চমৎকার এক অনুভূতি। একটা সময় যে ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সাথে দাপিয়ে বেড়িয়েছি, শ্রেণিকক্ষে প্রিয় শিক্ষাকদের ক্লাস মনোযোগ দিয়ে করেছিলাম, সময়ের পরিক্রমায় সেই শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নিবো। ভাবতেই অনেক ভালো লাগছে।’
ফলিত গণিত বিভাগের জামাল উদ্দীন বলেন, ‘যখন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে অনার্সে ভর্তি হই তখন টুকটাক টিউশনি করি। ছাত্র-ছাত্রীরা আমাকে অনেক ভক্তি-সম্মান করতো। এদিকে ডিপার্টমেন্টের অনুজদের ভালবাসা আর আমার রেজাল্ট সব মিলিয়ে একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে এই ডিপার্টমেন্টে নিজেকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত করার। আর অবশেষে তা হতে পেরে আমি অনেক উচ্ছ্বসিত এবং আনন্দিত।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. দিদার উল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা করে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে, তারা কোনো দিক দিয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থেকে পিছিয়ে নেই। আমাদের শিক্ষার্থীরা বিভাগের পরীক্ষায় যেমন ভালো ফলাফল করেছিল, তেমনি নিয়োগ পরীক্ষায়ও চমৎকার রেজাল্ট করে শিক্ষক হয়েছেন। আশা করি নোবিপ্রবি তাদের হাত ধরে শিক্ষা ও গবেষণায় অনেকদূর এগিয়ে যাবে।’
সারাবাংলা/এমও
নোবিপ্রবি নোবিপ্রবিয়ান নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক