‘অতি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কাছাকাছি উত্তর কোরিয়া’
৩০ জানুয়ারি ২০২২ ১৩:০৩ | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৪০
উত্তর কোরিয়া এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বা অতি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৭ সালের পর বোরবার (৩০ জানুয়ারি) প্রথম এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো দেশটি। দেশটির পূর্ব উপকূল থেকে সমুদ্রে একটি সম্ভব্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের খবর দেয় জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এরপরই বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন দেশটি অতি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কাছাকাছি চলে গেছে। খবর আলজাজিরা।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার জাগাং প্রদেশ থেকে সমুদ্রের কাছে থেকে রোববার স্থানীয় সময় ৭টা ৫২ মিনিটে একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষায়। এটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাপানের মন্ত্রিপরিষদের প্রধান সচিব হিরোকাজু মাতসুনো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩০ মিনিটের মধ্যে ২ হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় এবং ৮০০ কিলোমিটার দূরত্বে পৌঁছে ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়াও একই উচ্চতা ও দূরত্বের কথা জানিয়েছে।
তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা জানান, এটি একটি মধ্যবর্তী-রেঞ্জ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইআরবিএম)। এটি সম্ভবত ওয়াসং-১২ (Hwasong-12)। যা সর্বশেষ ২০১৭ পরীক্ষা করা হয়েছিল।
কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস’র অঙ্কিত পান্ডা এক টুইটে লিখেছেন, ‘এটি ২০১৭ সালের নভেম্বরের পর থেকে উৎক্ষেপণ করা যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক বড় (দূর পাল্লার) ক্ষেপণাস্ত্র। এটি সম্ভবত আইআরবিএম।’
প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দেশটির সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করতে এবং এর অস্ত্রশস্ত্রকে উন্নত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক ২০১৭ সালের পর থেকে চলতি বছরের শুরু পর্যন্ত ৭টি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে। এর মধ্যে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে।
সারাবাংলা/এনএস