Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গৃহকর্ত্রী সুমির জামিন বাতিল চেয়ে আদালতে গৃহকর্মী ফারজানার বাবা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩১ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:০১

প্রতীকী ছবি

ঢাকা: গৃহকর্ত্রী সামিয়া ইউসুফ সুমির জামিন বাতিল চান নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা গৃহকর্মী ফারজানা আক্তার (১৫) এর বাবা মামলার বাদী বিল্লাল হোসেন ভুইয়া।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন বাতিলের আবেদন দাখিল করেছেন। ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তী আবেদনের ওপর আসামির উপস্থিতিতে মামলার ধার্য্য তারিখ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ঠিক করেছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী রহমান জাহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গৃহকর্মী ফারজানা আক্তারের বাবা জানান, আসামির লোকজন আমার কাছ থেকে কাগজে সই নিয়েছে। সেই কগজে লিখছে, অভিযোগ সত্য নয়, আমার জামিনে আপত্তি নাই। সেই কাগজ দেখাইয়া না কি, জামিন নিছে। আমি লেখাপড়া জানি না। কি লেখা ছিল জানি না। আমি জামিন বাতিল চাই।

এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি গৃহকর্ত্রী সামিয়া ইউসুফ সুমির ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার ধার্য্য তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুন: গৃহকর্ত্রীর নির্মম অত্যাচারে কেবল হাড্ডিসার দেহই রয়েছে ফারজানার

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদীর বড় মেয়ে ফারজনাকে (১৫) ২০১৫ সালে থাকা-খাওয়া মাসিক দুই হাজার টাকা দেয়ার চুক্তিতে সামিয়া ইউসুফ সুমির (৩২) বাসায় কাজে দেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় মেয়ে ফোনে জানায় বিবাদী সুমি তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে, মারধর করে এবং খাবার দেয় না। পরবর্তীতে গত ১৭ জনুয়ারি বিবাদী সুমি ফোনে জানায় বাদীর মেয়ে ফারজানা খুব অসুস্থ। এরপর ওইদিনই স্ত্রী জোছনা বেগম (৩৫)সহ বিবাদীর বাসায় গিয়ে ফারজানাকে (১৫) অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। লোকদের সহায়তায় মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিছুটা সুস্থ হলে মেয়ে জানায় যে, কাজে যোগদান করার পর থেকেই বিবাদী সুমি বাদীর মেয়েকে বিভিন্ন তুচ্ছ কারনে মারপিট করত। পেটের দায়ে সকল অত্যাচার নিরবে সহ্য করে আসছিল।

অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ১৫ জানুয়ারি ঘর গোছানো ও বাসন-পত্র ভেঙে ফেলার মিথ্যা অভিযোগে এবং কাজে দেরি হওয়ার তুচ্ছ অজুহাতে বিবাদী সুমি ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি নিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে এবং এক পর্যায়ে তাকে লোহার খুন্তি গরম করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দেয়। যাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থান মারাত্মক পোড়া জখম হয়।

মামলার ভুক্তভোগী গৃহকর্মী ফারজানা আক্তার (১৫) গত ১৭ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সারাবাংলা/এআই/এনএস


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর