ইভ্যালির লকারে পাওয়া গেল ২৫৩০ টাকা!
৩১ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:০৭
ঢাকা: আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দু’টি লকার ভেঙে ২৫৩০ টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ বেশ কিছু চেক বই পাওয়া গেছে। এর বাইরে ‘অপ্রয়োজনীয়’ কিছু কাগজপত্রও পাওয়া গেছে। লকার দু’টিতে গুরুত্বপূর্ণ তেমন কিছু মেলেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইভ্যালির অফিসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে লকারগুলো ভাঙা হয়। লকার থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ইভ্যালির বোর্ডের কয়েকজন।
আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও আদালতের গঠন করা পরিচালনা পর্ষদের প্রধান এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সারাবাংলাকে বলেন, আমরা দু’টি লকারই ভেঙেছি। প্রথম লকারটিতে মেয়াদোত্তীর্ণ বেশ কিছু চেক বই পাওয়া গেছে। তবে দ্বিতীয় লকারটিতে কী পাওয়া গেছে সেই উত্তর মেলেনি তার কাছ থেকে।
জানতে চাইলে ইভ্যালির অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব কবির মিলন সারাবাংলাকে বলেন, দু’টি লকারেই আমরা চেক বই পেয়েছি। কিছু ব্যবহৃত চেক বইও পাওয়া গেছে। তবে সবগুলো চেক বই মেয়াদোত্তীর্ণ। আমরা দ্বিতীয় লকারটিতে ২৫৩০ টাকা পেয়েছি। এছাড়া লকার থেকে কিছু অপ্রয়োজনীয় কাগজ পাওয়া গেছে।
এদিকে লকার ভাঙার আগে এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, গত ২৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী নাসরিনকে ধানমন্ডি কার্যালয়ে লকারগুলোর কম্বিনেশন নম্বর (পাসওয়ার্ড) দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বর্তমান পর্ষদের প্রতিনিধিকে তাদের সঙ্গে দ্রুত দেখা করার ব্যবস্থা করতেও আইজি প্রিজনকে নির্দেশ দেন আদালত।
তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে কোর্টের ওই আদেশের পরও লকার দু’টির পাসওয়ার্ড পায়নি কমিটি। যে কারণে লকার ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে লকার দু’টি কাটা হচ্ছে।
পরে মেশিন দিয়ে কেটে লকার দু’টির একটিতে দু’টি ব্যাংকের চেক বই এবং কিছু কাগজপত্র পাওয়া গেছে। এরমধ্যে মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৯৭টি এবং সিটি ব্যাংকের ১০টি চেক বই এবং বেশ কয়েকটি কাগজ ছিল।
আরও পড়ুন-
সারাবাংলা/ইএইচটি/আইই