পেট্রাপোলে ধর্মঘট, বেনাপোলে বন্ধ আমদানি-রফতানি
১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:৪৮
যশোর: ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিএসএফের হয়রানি বন্ধের দাবিতে গতকাল সোমবার (৩১ জানুয়ারি) অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দরে কর্মরত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন। আজ মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন।
ভারতীয় স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, পেট্রাপোল বন্দরে নতুন (এলপি) ম্যানেজার যোগ দেওয়ার পর হঠাৎ নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে ইউনিক কার্ড ছাড়া ট্রান্সপোর্ট কর্মচারী ও ট্রাক চালকরা বন্দরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। ভারতীয় পণ্যবোঝাই প্রতিটি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের আগে বিএসএফ সদস্যরা ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে তল্লাশির নামে হয়রানি করছেন। নির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই প্রত্যেকটি ট্রাক এভাবে তল্লাশি করায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
শুধু তল্লাশি নয়, ট্রাকচালক ও হেলপারদের শারীরিকভাবে নির্যাতনও করছেন বিএসএফ সদস্যরা। এছাড়া ভারতীয় পণ্যবোঝাই ট্রাক হেলপার ছাড়া চালককে একাই নিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশে, এমন নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। এসবের প্রতিবাদে পেট্রাপোলে ধর্মঘট চলছে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যে হঠাৎ করেই নতুন নিয়ম চালু করেছেন বন্দরের এলপি ম্যানেজার। এতে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে ব্যাঘাত ঘটছে। নতুন ইউনিক কার্ড তৈরি না হওয়া পর্যন্ত পুরনো নিয়মে তাদের আইসিপিতে প্রবেশ করতে দিতে হবে। এ দাবি না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, আমদানি-রফতানি বন্ধ বা পেট্রাপোল বন্দরে ধর্মঘটের কোনো চিঠি আমরা পাইনি। শুনেছি ওপারে এলপি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী ও ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন আন্দোলন করছে। তবে তারা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা মালামাল দিলে আমরা যেকোনো সময় নিতে প্রস্তুত আছি।
সারাবাংলা/এমও