আরও বিনিয়োগে কানাডাকে রাষ্ট্রপতির আহ্বান
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:২৬
ঢাকা: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাংলাদেশে কানাডার আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বঙ্গভবনে বাংলাদেশে কানাডার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার লিলি নিকোলস রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশকালে রাষ্ট্রপতি এই আহ্বান জানান। খবর বাসসের।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বৈঠকে রাষ্ট্রপতির বরাত দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। তাই আমি বিনিয়োগকারীদের এখানে সম্ভাবনাময় বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, নতুন হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং দেশটির সঙ্গে বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে সম্পর্ক সম্প্রসারিত হচ্ছে।
‘কানাডা বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার’ -একথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের জন্য ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি প্রবেশাধিকার থাকায় কানাডা বাংলাদেশের রফতানির অন্যতম বড় গন্তব্যস্থল। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ব্লু রিবন ওয়ার্কিং গ্রুপ এ লক্ষ্যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের কানাডার সহায়তার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে এ সহায়তা আরও সম্প্রসারিত হবে এবং রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে সসম্মানে প্রত্যাবর্তন করতে পারে সে ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর কানাডার চাপ প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে।
রাষ্ট্রপতি কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ভ্যাকসিনসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি দিয়ে সহযোগিতা করায় কানাডার সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
নবনিযুক্ত হাইকমিশনার বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবতা ও সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কানাডা সরকারের সার্বিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তিনি বঙ্গভবনে এসে পৌঁছালে প্রেসিডেন্টের গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) অশ্বারোহী একটি চৌকস দল হাইকমিশনারকে গার্ড অব অনার দেয়।
সারাবাংলা/এসএসএ