Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সার্চ কমিটির সুপারিশ জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:৫৭

ঢাকা: সার্চ কমিটির সুপারিশ জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, এটা স্পষ্ট যে, এই অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে তাদের লক্ষ্য থাকবে বিদায়ী কমিশনের মতোই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা। এটা জনগণের সঙ্গে আরেকটি প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ধরনের তামাশা জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।

‘গত এক দশকে মানুষের মৌলিক অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে- এটা একটা বড় অপরাধ। এর জন্য ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বর্তমান সংকট উত্তরণে নিরপেক্ষ সরকারের কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে অনুসন্ধান কমিটি এবং তাদের দ্বারা গঠিত নির্বাচন কমিশন কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে না। অনুসন্ধান কমিটির বিষয়ে বিএনপি কোনো আগ্রহ প্রকাশ করতে চায় না। বিএনপি মনে করে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অর্থহীন এবং অগ্রহনযোগ্য।’

সার্চ কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যাদের সমন্বয়ে এই অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা প্রায় সকলেই প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ছাত্রলীগের কেন্ত্রীয় কমিটির সহসভাপতি ছিলেন দুই টার্মে। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ২০১৮ সালে। তার পিতা ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ মনোনীতগণ পরিষদের সদস্য। তার ছোট ভাই সাজ্জাদুল হাসান বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসাবে কাজ করেছেন।’

‘আরেক সদস্য ছহুল হোসাইন ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। অন্য সদস্যবৃন্দ প্রায় সকলেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ত। যেমন বিচারপতি কুদ্দুস সাহেবের গোটা পরিবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর যে দুইজন কনট্রোলার জেনারেল ও পিএসসির চেয়ারম্যান তারাও আওয়ামী লীগ সরকার দ্বারাই মনোনীত। সুতরাং যে ছয়জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে। নির্ব্চান কমিশন শুধুমাত্র নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হচ্ছে তা নয়। তারা চুরি করছে, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়েছে। এটা আনবিলিয়েভল।’

নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে কী করা উচিত?- এমন প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এজন্য এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে, এই সংসদ বাতিল করতে হবে। তারপরে নতুন সরকার আসবে। তাদেরকে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হবে। সমাধান আছে, দেশে ভালো লোক আছে।’

সারাবাংলা/এজেড/এএম

টপ নিউজ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর