Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘পোশাক নয়, জ্ঞান-দক্ষতা ও যোগ্যতাই আমার স্মার্টনেসের পরিচায়ক’

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:৩০

ভারতের কর্নাটকে হিজাব পরে কলেজে যাওয়া নারী শিক্ষার্থীকে নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন— দেশীয় সংস্কৃতি মেনে পোশাক পরার অধিকার যেমন আছে, ঠিক তেমনই ধর্ম মেনে পোশাক পরার অধিকারও সবার আছে। পোশাক নয়, জ্ঞান, দক্ষতা ও যোগ্যতাই তাদের স্মার্টনেসের পরিচায়ক।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে কর্নাটকে পোশাক বিতর্ক নিয়ে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আয়োজন করা এক সমাবেশে ঢাবি শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেন।

সমাবেশ থেকে ভারতের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ভারত সরকারকে এ বিষয়ে উদারনৈতিক অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।

পোশাক নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ টেনে সমাবেশে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা হিজাব পরে, তাদের অনেককে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-সহপাঠীদের থেকে নানা কটূ কথা শুনতে হয়। আমরা ভারতের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এটাও বলে দিতে চাই— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং বাংলাদেশেও যে যার যার খুশি অনুযায়ী পোশাক পরবে। এই কাজে যারা বাঁধা দেবে, আমরা সবকিছুর ডকুমেন্টেশন রাখব।

কোনো শিক্ষক বা সহপাঠী পোশাক নিয়ে অপ্রীতিকর কিছু বললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন এই শিক্ষার্থী। ‘ফ্রিডম অব চয়েজে’র ওপর ভিত্তি করে হিজাব নিয়ে ভারত সরকারের রায় আসবে বলেও এই ঢাবি শিক্ষার্থী আশাবাদ জানান।

হিজাব নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক শিক্ষকের মন্তব্য প্রসঙ্গে শিক্ষার্থী আশরিফা তাসনিম বলেন, আমাদের বিভাগীয় ওরিয়েন্টেশনে আমাদের একজন অধ্যাপক সামনে বসা হিজাব পরিহিত মেয়েদের উদ্দেশে বলেছিলেন— কী ধরনের পোশাক পরেছ! আমরা বাঙালি, তাই বাঙালিদের মতো পোশাক পরতে হবে।

ওই শিক্ষার্থী বলেন, আমি বলতে চাই— আমি একজন বাংলাদেশি মুসলিম কিংবা আমি একজন বাংলাদেশি হিন্দু। আমি আমার দেশীয় সংস্কৃতি মেনে যেমন পোশাক পরি, ঠিক তেমনি ধর্ম মেনেও আমার পোশাক পরার অধিকার আছে। হিজাব পরলে বেশিরভাগ সময়ই শুনতে হয়, হিজাব স্মার্ট না। আমরা বলতে চাই— আমার পোশাক নয়, আমার জ্ঞান-দক্ষতা ও যোগ্যতাই আমার স্মার্টনেসের পরিচায়ক।

আয়োজিত সমাবেশ শেষে কর্নাটকের ঘটনায় সংহতি জানিয়ে একটি মৌন পদযাত্রা করেন শিক্ষার্থীরা। পদযাত্রাটি রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

সারাবাংলা/আরআইআর/টিআর

কর্নাটকে পোশাক বিতর্ক ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংহতি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে হামলার হুমকি!
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫

সম্পর্কিত খবর