Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘দেশে কত বিদেশি কাজ করে তার হিসাব দরকার’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:০৫

ঢাকা: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, অনেকে বলেন বাংলাদেশে কাজ করে বিদেশিরা বছরে পাঁচ থেকে ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছেন। তবে, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। বিদেশ থেকে কত লোক কাজ করতে এ দেশে আসছেন তারও কোনো হিসাব নেই। এটি বের করা উচিত।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মিলনায়তনে জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার (এনপিআর) বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার (এনপিআর) প্রণীত হচ্ছে। এটা করতে পারলে সব হিসাব সরকারের কাছে থাকবে। বাংলাদেশে কী পরিমাণ বিদেশি শ্রমিক কাজ করছেন, কত টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে সব হিসাব রাখা যাবে। এনপিআর প্রণয়ন করতে পারলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশিদের মর্যাদা বাড়বে। দেশে প্রতারণা করে কেউ মুক্তি পাবে না। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে এনপিআর দারুণ ভূমিকা রাখবে। অনেক প্রতারণা বন্ধ হবে।

তিনি আরও বলেন, ভূমি নিয়ে নানান জটিলতা থাকে এনপিআর হলে এ সমস্যা থাকবে না। কারণ, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নাগরিকের সকল তথ্য থাকবে এনপিআর-এ। তবে, এনপিআর যেন সময়মতো সম্পন্ন হয়।

কর্মশালার প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এনপিআর ব্যক্তি সমাজে দারুণ ভূমিকা রাখবে। ভারতীয় নাগরিকের সব তথ্য থাকে আধার কার্ডে। ভারতের আধার কার্ডের চেয়েও শক্তিশালী নাগরিক ডাটাবেজ তৈরি করতে যাচ্ছে বিবিএস। তবে, ভারত যেহেতু আধার কার্ড নাম দিয়েছে অন্য একটা নাম দিতে হবে। বর্তমানে পলিসি লেভেলে এনপিআরের কাজ চলছে। এনপিআরে একজন নাগরিকের ৩৩ ধরনের তথ্য থাকবে।

তিনি আরও বলেন, জনশুমারি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। নানান কারণে সময়মতো করা যাচ্ছে না। কোভিড-১৯ ছাড়াও নানান বিষয় দায়ী তবে এনপিআর যেন তাড়াতাড়ি হয় সেই দাবি থাকবে।

বিবিএস জানায়, এনপিআর ৩৩ ধরণের তথ্য থাকবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ব্যক্তির নাম, এনআইডি-পাসপোর্ট-জন্ম নিবন্ধন-মোবাইল নম্বর, ইমেইল আইডি, জরুরি নম্বর, পিতা-মাতার নাম, স্ত্রী/স্বামীর নাম, বসতবাড়ি, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, জন্মস্থান, জাতীয়তা, ধর্ম, ব্লাড গ্রুপ, রেসিডেন্স স্ট্যাটাস, বর্তমান ঠিকানা, ঘরের ধরন, পানির উৎস/স্যানিটেশন/আলোর উৎস, স্থায়ী ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, নাগরিকত্ব, কান্ট্রি মাইগ্রেশন, করোনিক ডিজিস, জেনেটিক ডিজিস প্রভৃতি। এই তথ্য নির্বাচন কমিশনও ব্যবহার করতে পারবে। মানুষের মৃত্যু হলেও হাজার বছর তার তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।

বিবিএসের সেন্সাস উইংয়ের সাবেক পরিচালক ও এনপিআরের পরামর্শক ড. মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন কর্মশালায় বলেন, ভারতের আধার কার্ডের থেকেও শক্তিশালী হবে এনপিআর। মানুষ মারা যাবে কিন্তু ডাটা সংগ্রহে থাকবে হাজার বছর। একটি শিশু জন্মের পরেই এনপিআর ডাটাবেজে চলে আসবে। নাগরিকের যখন তথ্য দরকার হবে তখন এক ক্লিকেই সব তথ্য বের হয়ে যাবে।

এদিকে, নাগরিকদের সব তথ্য একত্র করার লক্ষ্যে প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তিগত রেজিস্ট্রার (ডাটাবেইজ) তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। ডাটাবেজ তৈরির জন্য ‘ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রার’ সংক্রান্ত প্রকল্প অনুমোদনের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরই বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে বিবিএস।

সারাবাংলা/জেজে/একেএম

টপ নিউজ ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী পরিকল্পনা মন্ত্রী


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর