প্রতিটি জেলায় হচ্ছে ডায়ালাইসিস ও আইসিইউ ইউনিট: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:২১
ঢাকা: দেশের প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে কিডনি রোগীদের জন্য ডায়ালাইসিস ইউনিট এবং সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে জেলা সদর হাসপাতালগুলোকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা যুক্ত করা হচ্ছে। প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে কিডনি রোগীদের জন্য ১০টি করে ডায়ালাইসিস ইউনিট এবং সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য সমানসংখ্যক শয্যার আইসিইউ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মন্ত্রিসভায় এ প্রস্তাব অনুমোদনের পর কাজ চলমান রয়েছে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি হাসপাতালটিতে নতুন সংযোজন ক্রিটিক্যাল কেয়ার, ডায়ালাইসিস সেন্টার ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেন।
জাহিদ মালেক বলেন, রাজধানীর এই হাসপাতালে (সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল) নতুন ২০টি আইসিইউ শয্যা, ৫৩২ লিটারের একটি অক্সিজেন জেনারেটর স্থাপন ও ২৪০টি শয্যা বাড়ানো হলো। পাশাপাশি হাসপাতালটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ও লিকুইড অক্সিজেনের ব্যবস্থাও আছে। এতে স্বাস্থ্যসেবার মান আরও বাড়বে। এ ছাড়া জরুরি সেবার জন্য নতুন ২০টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এই ব্যবস্থা সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। ফলে মানুষকে বেশি দিন হাসপাতালে থাকতে হবে না। এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও আছে, এখন বাংলাদেশেও হচ্ছে।
ডায়ালাইসিস ইউনিট বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নতুন করে এখানে (সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল) ৩০টি ডায়ালাইসিস ইউনিট চালু হলো। ফলে আরও বেশি মানুষ সেবা পাবে। মুগদা ও মিটফোর্ড হাসপাতালেও ২০টি করে ডায়ালাইসিস ইউনিট বাড়ানো হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে দেশে ১২৬টি ডায়ালাইসিস ইউনিট চালু হলো।
তিনি আরও বলেন, দেশে নতুন চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। করোনার জন্য কোথাও কাজ থেমে থাকেনি। আটটি বিভাগে হাসপাতাল হচ্ছে। ঢাকার ওপর যেন চাপ কমে, সেজন্য স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে সেন্ট্রালাইজড করা হচ্ছে। গত ২০ বছরে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আসন বাড়েনি। অথচ গত সাত-আট বছরে এক হাজার আসন বাড়িয়েছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডায়ালাইসিস নিয়ে যে সংকট ছিল, তা পেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। কয়েক দিন আগে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এগুলো ভুল। যে সংবাদ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে, তা থেকে বিরত থাকতে হবে।
দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগে সাফল্যের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আফ্রিকার দেশগুলোতে মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছে। সেখানে আমাদের টার্গেটেড জনগোষ্ঠীর ৮৫ শতাংশকেই ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমানসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর