বর আসেনি, স্বেচ্ছায় বিয়ে করে আলোচনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৫:৫৮
নোয়াখালী: বর আসবে দুপুরে। সব আয়োজন শেষে অপেক্ষায় বিয়ে বাড়ি। লাল শাড়িতে সাজানো হয়েছে কনেকে। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও হদিস নেই বরপক্ষের। পুরো বাড়িতে তখন চাপা উত্তেজনা। এই খবরে অজ্ঞান হয়ে পড়লেন কনে। এমন সময় দেবদূত হয়ে হাজির এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। স্বেচ্ছায় রাজি হলেন ওই কনেকে বিয়ে করতে। হতাশা ছাপিয়ে পুরো বাড়ি মেতে উঠলো আবারও বিয়ের আনন্দে।
এই ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আহম্মদ আলী মাঝিবাড়িতে। স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন রাফেল চৌধুরী ও চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন সোহাগ এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, পারিবারিক সম্মতিতে বসন্তের প্রথম দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি চরপার্বতী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শাকিলের সঙ্গে চরহাজারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হেলালের মেয়ে সানজিদা ইয়াসমিনের বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। নির্ধারিত দিনে সব আয়োজন সম্পন্ন করে কনেপক্ষ। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও বরপক্ষ আসেনি। মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটক ও বরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা বিয়ের আসরে যোগ দেয়নি। এই খবর শুনে অজ্ঞান হয়ে পড়েন কনে সানজিদা ইয়াসমিন।
তাৎক্ষণিকভাবে কনের পরিবার যোগাযোগ করে চরহাজারী ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন সোহাগ ও ওয়ার্ড মেম্বার গোলাম হোসেন চৌধুরী রাফেলের সঙ্গে। তারা বরের ইউপি চেয়ারম্যান কাজী হানিফ আনসারীকে জানালে তিনি বরের বাবা ও তাদের অভিভাবকদের ডেকে এনে উভয় চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিবাহের খরচ বাবদ বরপক্ষের তিন লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এরপরেই আসে সেই নাটকীয় মুহূর্ত। চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন সোহাগের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই কনেকে স্বেচ্ছায় বিয়ে করতে রাজি হন মুছাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন খোকন (৩৩)। ওই রাতেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
আলাউদ্দিন খোকন মুছাপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মৃত নূর ইসলামের ছেলে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলাউদ্দিন খোকন বলেন, খবর শুনে খুব কষ্ট পাই। একটি অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মানবিক টান অনুভব করি। পরে আমার পরিবারের একাধিক সদস্যের উপস্থিতিতে এ বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়।
সারাবাংলা/এএম