প্রাথমিকে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে, খুলতে পারে ১৪ দিন পর
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:৫৫
ঢাকা: ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে করোনাভাইরাসের দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া শিক্ষার্থীরাই কেবল শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থেকে পাঠগ্রহণ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের হার আরও কমে এলে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ১০ থেকে ১৪ দিন পর খুলে দেওয়া হতে পারে বলে তিনি জানান। প্রাথমিকের তথা ১২ বছরের কম বয়সীদের ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। তারা বলছেন, সংক্রমণের হার দ্রুত নামছে। এই হার ৩০ শতাংশ পেরিয়ে গেলেও সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১২ শতাংশে নেমে এসেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- ২ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়াদের জন্য স্কুল-কলেজ খুলছে ২২ ফেব্রুয়ারি
প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার আরও কমে গেলে তাদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু করা যেতে পারে। ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে এর ১০ দিন থেকে দুই সপ্তাহ বা ১৪ দিন পর প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদেরও শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আসার আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের আসলে আমরা এখনই শ্রেণিকক্ষে আনছি না। তাদের জন্য আরেকটু অপেক্ষা করছি। আশা করছি ২২ তারিখের (২২ ফেব্রুয়ারি) পর ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে সংক্রমণের হার আরও কমে যাবে। তখন তাদেরও শ্রেণিকক্ষে আনা যাবে।
এখন পর্যন্ত দেশে ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদেরই কেবল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এবারে ১২ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদেরও ভ্যাকসিনের আওতায় আনার জন্য কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১২ বছরের কম বয়সীদেরও ভ্যাকসিন প্রয়োগের উদ্যোগ নিয়ে আমরা কাজ করছি। সেই কাজটি যত দ্রুতসম্ভব আমরা শুরু করতে চাই। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের বিষয় রয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরিসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিয়ে প্রস্তত হতে পারলেই আমরা প্রাথমিকের তথা ১২ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদেরও ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করতে পারব।
সারাবাংলা/টিআর
ডা. দীপু মনি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাথমিকে ভ্যাকসিন শিক্ষামন্ত্রী