অরিত্রী আত্মহত্যা মামলায় প্রতিবেশীর সাক্ষ্য
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:৪১
ঢাকা: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শ্রী অনিক নামে এক প্রতিবেশী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে তিনি এ সাক্ষ্য দেন। পরে আদালত আগামী ১৪ মার্চ এই মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।
এখন পর্যন্ত মামলাটিতে ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। এদিন মামলার দুই আসামি নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার আদালতে হাজিরা দেন।
২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিনাত আক্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
এর আগে, ওই বছরের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষিক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয় অভিযোগপত্রে।
২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যায় ঘটনায় পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে— এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে উপাধ্যক্ষ তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এসময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে দিলীপ অধিকারী দেখতে পান, অরিত্রী তার রুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।
অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় স্কুলের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষকেকে বরখাস্ত করা হয়।
সারাবাংলা/এআই/টিআর
অরিত্রী অধিকারী অরিত্রীর আত্মহত্যা আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা ভিকারুননিসা নূন স্কুল সাক্ষ্যগ্রহণ