ইউক্রেনের দোনেস্ক-লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি রাশিয়ার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:৩৬
ইউক্রেন সংকট আরও ঘণীভূত। দেশটির পূর্বাঞ্চলের দুটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চল দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রদান করেছে রাশিয়া। এই অবস্থায় জরুরি মিটিং আহ্বান করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। অন্যদিকে ওই দুই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে সৈন্য মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার তিনি এ নির্দেশনা দেন।
এর আগে মস্কোর স্থানীয় সময় সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করেন পুতিন। তিনি বলেন, একটি সত্যিকারের জাতিরাষ্ট্র হওয়ার কোনো ইতিহাস ইউক্রেনের নেই।
এরপর গভীর রাতে এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ইউক্রেন মোটেই ভীতসন্ত্রস্ত নয়। ইউক্রেন কাউকে কিছু দেবে না।
জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব লংঘন করছে।
পূর্ব ইউক্রেনের দোনেস্ক ও লুহানস্ক রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট বিদ্রোহীদের এলাকা। ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছেন এই অঞ্চলের বিদ্রোহীরা।
সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সৈন্য সমাবেশের পর থেকেই আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো দাবি করে আসছে রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাবে। যদিও বরাবরই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে হামলার কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেন যে কখনই ন্যাটোতে যোগদান করবে না তার গ্যারান্টি চায় মস্কো। পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপ থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোটের সেনাবাহিনী অপসারণ করারও দাবি করা হয়। তবে সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে পশ্চিমা দেশগুলো।
এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল নিজেদের দখল নেয় রাশিয়া। এ কাজে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যবহার করে মস্কো।
সারাবাংলা/এএম