দোনেস্ক ও লুহানস্ককে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাশিয়ার আহ্বান
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:৩৪
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের স্বাধীনতাকামী দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্বের সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। এর আগে এই দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রদান করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর এনডিটিভি।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার এই নীতিকে অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানায় রুশ পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শান্তি রক্ষার জন্য দোনেস্ক ও লুহানস্ককে রুশ সেনা পাঠানোর জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশ দেওয়ার একদিন পর এই আহ্বান জানাল দেশটি।
উদাহরণ হিসেবে রাশিয়ার পথকে অনুসরণ করার জন্য বিভিন্ন দেশকে আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতিতে রুশ পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে, ‘পশ্চিমা দেশগুলোর নিন্দা সত্ত্বেও বিদ্রোহীদের মস্কোর স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি সহজ ছিল না। কিন্তু এটিই ছিল একমাত্র সম্ভাব্য পদক্ষেপ।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের দোনেস্ক-লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি রাশিয়ার
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রাথমিকভাবে মানবিক বিবেচনায় বিদ্রোহীদের স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পুতিন। স্বাধীনতাকামী দোনেস্ক ও লুহানস্কোর শান্তিপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এটা করা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে এক ঘণ্টার জাতীয় ভাষণের পর স্বাধীনতাকামী দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন পুতিন।
ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলের স্বাধীনতা স্বীকৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ওই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার জন্য রুশ সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। তার এ নির্দেশে ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের সূচনা বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা শক্তি।
আরও পড়ুন: রুশ সেনাদের পূর্ব ইউক্রেনে প্রবেশের হুকুম দিলেন পুতিন
এদিকে শান্তি রক্ষার নামে ইউক্রেনে সেনা প্রেরণের নির্দেশের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, রাশিয়ান বাহিনী শান্তিরক্ষী হিসাবে এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে, যা অবাস্তব। আমরা জানি তারা আসলে কী। আসলে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর একটি বাহানা খুঁজছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে ১ লাখ ৬৯ হাজার থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে মস্কো, যাদের মধ্যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র দোনেস্ক ও লুহানস্ক রুশ সমর্থিক যোদ্ধারাও আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর কখনো এত বেশি সৈন্য সমাবেশ ঘটায়নি রাশিয়া।
আরও পড়ুন: জেট বিমানে পূর্ণ ইউক্রেন সীমান্তের নিকটবর্তী রুশ ঘাঁটি
তবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে আক্রামণ করার কথা অস্বীকার করে আসছিল রাশিয়া। তবে ইউক্রেন যে কখনই ন্যাটোতে যোগদান করবে না তার গ্যারান্টি চায় মস্কো। পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপ থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোটের সেনাবাহিনী অপসারণ করারও দাবি করা হয়েছে। তবে সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে পশ্চিমা দেশগুলো।
এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল নিজেদের দখল নেয় রাশিয়া। এ কাজে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের ব্যবহার করে মস্কো।
সারাবাংলা/এনএস