Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ বাইডেনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:০৩

জো বাইডেন, ফাইল ছবি

রাশিয়ার ওপর একগুচ্ছ নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিকে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের প্রতি রুশ আক্রমণের সূচনা হিসাবে অভিহিত করেছেন তিনি। খবর আলজাজিরা।

গতকাল মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার এবং অঞ্চল দুটিতে ‘শান্তি বজায় রাখার’ জন্য রাশিয়ান সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন জো বাইডেন।

বিজ্ঞাপন

জো বাইডেন বলেন, ‘রাশিয়া যদিও তার আক্রমণের পরিধি আরও এগিয়ে নেয়, তাহলে আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য আমরাও প্রস্তুত রয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুতিনকে তার প্রতিবেশিদের ভূখণ্ডে নতুন তথাকথিত দেশ ঘোষণা করার অধিকার দিয়েছে? এটি আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে এর বিরুদ্ধে আরও দৃঢ় প্রতিক্রিয়া দাবি করে।’

আরও পুড়ন: দোনেস্ক ও লুহানস্ককে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাশিয়ার আহ্বান

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘রাশিয়ার সার্বভৌম ঋণের পাশাপাশি দেশটির সামরিক ব্যাংকসহ দুটি বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, এর অর্থ হলো আমার রাশিয়ার সরকারকে পশ্চিমা অর্থায়ন থেকে বাদ দিয়েছি। ফলে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে আর অর্থ সংগ্রহ করতে পারে না রাশিয়া। একইসঙ্গে মার্কিন বা ইউরোপীয় বাজারে তার নতুন করে ঋণের বাণিজ্য করতে পারে না।’

এর আগে, গতকাল সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে এক ঘণ্টার জাতীয় ভাষণের পর স্বাধীনতাকামী দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন পুতিন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: ইউক্রেনের দোনেস্ক-লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি রাশিয়ার

ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলের স্বাধীনতা স্বীকৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ওই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার জন্য রুশ সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। তার এ নির্দেশে ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের সূচনা বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা শক্তি।

এদিকে শান্তি রক্ষার নামে ইউক্রেনে সেনা প্রেরণের নির্দেশের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, রাশিয়ান বাহিনী শান্তিরক্ষী হিসাবে এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে, যা অবাস্তব। আমরা জানি তারা আসলে কী। আসলে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর একটি বাহানা খুঁজছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে ১ লাখ ৬৯ হাজার থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে মস্কো, যাদের মধ্যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র দোনেস্ক ও লুহানস্ক রুশ সমর্থিক যোদ্ধারাও আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর কখনো এত বেশি সৈন্য সমাবেশ ঘটায়নি রাশিয়া।

তবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে আক্রামণ করার কথা অস্বীকার করে আসছিল রাশিয়া। তবে ইউক্রেন যে কখনই ন্যাটোতে যোগদান করবে না তার গ্যারান্টি চায় মস্কো। পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপ থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোটের সেনাবাহিনী অপসারণ করারও দাবি করা হয়েছে। তবে সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে পশ্চিমা দেশগুলো।

এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল নিজেদের দখল নেয় রাশিয়া। এ কাজে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের ব্যবহার করে মস্কো।

সারাবাংলা/এনএস

ইউক্রেন দোনেস্ক-লুহানস্ক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর