ঢাকা: পিলখানা হত্যা দিবসকে জাতির জন্য ‘বেদনাবিধুর ও কলঙ্কজনক’ দিন বলে অভিহিত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের)।
তিনি বলেন, এই দিনে মেধাবী, দক্ষ ও প্রশংসনীয় সেনা কর্মকর্তারা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে জাপা চেয়ারম্যান বনানীতে সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় শহিদ সেনা কর্মকর্তাদের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি সেনা কর্মকর্তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনো প্রশ্ন আছে উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, এত বড় একটি হত্যাকাণ্ড হঠাৎ করেই হয়নি। এর পেছেনে অবশ্যই বড় ধরনের কোন ষড়যন্ত্র ছিল। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কেন বিষয়টি জানতে পারেনি? আবার যদি জানতে পারেন, তাহলে কেন এই ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করা হলো না? এই বিষয়গুলো নিয়ে এখনো মানুষের মনে সংশয়, সন্দেহ ও বেদনা কাজ করে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা মনে করি— এসব প্রশ্নের অবসান হওয়া উচিত। সবাইরই নিজ নিজ কৃতকর্মের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আসা উচিত। কারণ জবাবদিহিতার অভাবে অনেক বড় ধরনের অঘটন ঘটে যায়। সব ক্ষেত্রে যেমন শৃঙ্খলা প্রয়োজন, একইভাবে শৃঙ্খলা রক্ষা হচ্ছে কি না বা কার কী দায়িত্ব— এর জবাবদিহিতাও সুনিশ্চিত করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। আমরা এমন শোকবিধুর দিনে তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। জাতি চিরদিন পিলখানায় শহিদ সেনা কর্মকর্তাদের বীর হিসেবে মর্যাদা দেবে।
পিলখানা হত্যাযজ্ঞের শিকার তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক শহিদ মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাকিন আহমেদ এবং শহিদ কর্নেল কুদরত ইলাহীর ছেলে জাতীয় পার্টির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাকিব রহমান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী।
এসময় জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন ও আনোয়ার হোসেন তোতা, দফতর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. সাকিব রহমান, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব, যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম, কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, রাকিন আহমেদ, সোহাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।