‘প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মদদে পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা’
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:১১
ঢাকা: বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনীকে দুর্বল করার জন্য পিলখানা ট্র্যাজেডিতে ৫৭ জন নিরীহ এবং চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। এবং এর সবকিছুই আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মদদপুষ্ট ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীরবিক্রম)।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহতদের মাগফিরাত কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কোনো বিদ্রোহ নয়। এর মূল কারণ ছিল সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া। দুর্ভাগ্য আজকে এত বছর পরও প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। পিলখানার এ দুর্ঘটনার মাধ্যমে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনী দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করলেও তার রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়নি। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ছিল জাতির জন্য একটি শোকাবহ দিন।’
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এখান জনগণের অবশ্য কর্তব্য গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অক্ষুণ্ন রাখার জন্য রাজপথে নেমে মধ্যরাতের সরকারকে অবিলম্বে বিদায় করা। এদেশে স্বৈরশাসন চিরস্থায়ী হবে না, অতীতেও হয়নি। বর্তমানে এই সরকারের জালিম ব্যক্তিবর্গের উপর বিদেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আমার মনে হয় আগামীতে এই সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তির উপর আরও নিষেধাজ্ঞা আসবে।’
সেনা হত্যার বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই বিচার প্রক্রিয়া আমরা আরও দ্রুত দেখতে চাই। বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীকে নস্যাৎ করার জন্য ১৯৭৫ সালে জাসদ নেতা কর্নেল তাহের একটি বিষ বৃক্ষ রোপণ করে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। সিপাহী সিপাহী ভাই ভাই, অফিসারের রক্ত চাই- এ ধরনের একটি ভয়ংকর ও নিকৃষ্ট স্লোগান দিয়ে নিরীহ অফিসারদের হত্যা করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘পিলখানা ট্র্যাজেডিতে ৫৭ জন নিরীহ এবং চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। কেবলমাত্র বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে দুর্বল করার জন্য, এর সবকিছুই আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মদদপুষ্ট (ব্রেইনচাইল্ড) ছিল। এরপর তারা মনে করেছে, এবার হয়তো বাংলাদেশের ওপর আধিপত্য বজায় রাখা যাবে। আজকে সময় এসেছে আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ হই। আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আবার রাজপথে নামতে চাই। আবার এই দেশে আইনের শাসন দেখতে চাই।’
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, যুবদলের সাবেক সভাপতি এলবার্ট পি কস্তা, মুফাচ্ছিরীন পরিষদের অধ্যক্ষ মাওলানা মোশারফ হোসাইন, কল্যাণ পার্টির উপদেষ্টা মেজর ডা. বদরুল আলম, প্রিন্সিপাল এম এ মালেক প্রমুখ।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম