Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

একানব্বইয়ের মতো নির্বাচন চায় বিএনপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৫৭

ঢাকা: ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওই নির্বাচনের মতো ‘নিরপেক্ষ’ নির্বাচন না হলে সংকটের অবসান হবে না বলে মনে করছেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে যে সংকট চলছে, এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে বাধ্য করতে হবে পদত্যাগে। তাদের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের মতো নিরপেক্ষ নির্বাচন করে সত্যিকার অর্থেই জনগণের প্রতিনিধিশীল একটি পার্লামেন্ট ও সরকার গঠন করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রোলমডেল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনটি উদযাপনে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি এই আলোচনা সভা আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির মতো একটা নির্বাচন করা করতে পারলেই এই সংকটের উত্তরণ সম্ভব হবে, জাতির একটি ভবিষ্যত নির্মাণ করা সম্ভব হবে। দেশবাসীর কাছে, জনগণের কাছে আমাদের এই আহ্বান থাকবে— আসুন, আর কোনো দ্বিধা নয়, দ্বন্দ্ব নয়। দেশকে রক্ষা করবার জন্য, গণতন্ত্রকে রক্ষা করবার জন্য, ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করবার জন্য আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।’

তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা একটি দুর্বার সংগ্রাম করি, যে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা এই ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, একনায়্কতন্ত্রবাদী ও কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই জনগণের সরকার গঠন করতে পারব।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘নব্বইয়ে স্বৈরাচারের পতনের পরে এ দেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার হয়েছিল। তখনকার সংবিধানে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কোনো বিধান ছিল না। কিন্তু সবার স্বার্থে, জাতির স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে সেদিন নির্দলীয় নিরপেক্ষ একটি সরকার হয়েছিল। সংবিধানে যে ছিল না, তাতে কোনো বাধা হয়নি। এটি আজ আমরা জাতির কাছে তুলে ধরতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় প্রয়োজনে সংবিধানে কী আছে নেই, সেটি বড় কথা নয়। ১৯৯১ সালে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মদের নেতৃত্বে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সরকার একটি নির্বাচন দিয়েছিল, যে নির্বাচনটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ভোটের মাধ্যমে একটি অংশগ্রহণমূলক আন্তর্জাতিক স্বীকৃত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই নির্বাচনে আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল এবং সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজ পত্রিকায় দেখলাম কী নাম যেন, অখ্যাত-কুখ্যাত একজন লোক, তাকে দেওয়া হয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব। হাবিবুল আউয়াল সম্ভবত। কখনো নাম শুনি নাই। এই সমস্ত অখ্যাত-কুখ্যাত লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা সেই ব্যাপার আগ্রহী নই।’

‘এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য, গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করার জন্য একদল জল্লাদ নিয়োগ করেছে, নির্বাচন কমিশন নয়। এদের জল্লাদ বলা হবে। এরা হলো একদল জল্লাদ, যারা এই দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করবার জন্য এই সরকারকে সহযোগিতা করবে। আমরা এই নির্বাচনি কমিশন নিয়ে আগ্রহী নই। আমরা আগ্রহী নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে। নিরপেক্ষ সরকার না হলে এই দেশে কোনোদিন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, ভালো নির্বাচন হবে না,’— বলেন মির্জা আব্বাস।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু; ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান ও শওকত মাহমুদ; বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান; যুবদল নেতা সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু; শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার; কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল; তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ; স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী; ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

একানব্বইয়ের নির্বাচন টপ নিউজ পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর