Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাশিয়ায় ধারাবাহিক যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ, আটক বহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১ মার্চ ২০২২ ০৮:৪৬

রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নিজ শহর সেইন্ট পিটার্সবার্গ থেকে সাইবেরিয়া পর্যন্ত দেশটির প্রধান প্রধান শহরগুলোতে ব্যাপক যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। এসব বিক্ষোভ থেকে কয়েক হাজার রুশ নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পর থেকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোসহ বিভিন্ন শহরে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারের কারণে রুশ সরকারের নিন্দা করছেন বিক্ষোভকারীরা। রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রুশ নাগরিকরা ইউক্রেনে সামরিক হামলার নিন্দা জানাতে রাশিয়ার রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে জড়ো হন। মিডিয়া আউটলেট ডজড দাবি করেছে, ক্যামেরাম্যান আন্দ্রে কারাসেভ তার প্রেস কার্ড প্রদর্শন করা সত্ত্বেও তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উল্লেখ্য যে, বিদেশি তহবিলের সঙ্গে যোগসাজশের কারণে মিডিয়া আউটলেট ডজড রাশিয়ায় বিদেশি এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত।

অপরদিকে, ওভিডি-ইনফো নামক মানবাধিকার খবরের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শুধুমাত্র রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মস্কোতে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ থেকে ১,২৬৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সারাদেশের ৫৩টি শহরে ওই এক দিনে আটক করা হয় প্রায় ২ হাজার ৮০০ জনকে। উল্লেখ্য যে, বিদেশি তহবিলের সঙ্গে যোগসাজশের কারণে ওভিডি-ইনফোও রাশিয়ায় বিদেশি এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত।

আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের নিজ শহর সেইন্ট পিটার্সবার্গসহ বহু শহরে গ্রেফতারের আশঙ্কা সত্ত্বেও রুশ নাগরিকরা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিন, অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, রাজধানীর পুলিশ বাহিনী একটি অনুমতি-বিহীন সমাবেশে অংশ নেওয়ার দায়ে ৬০০ জনকে আটক করেছে। ফেডারেল ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি অনুমতিহীন যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীদের জন্য একটি সতর্কবার্তাও জারি করেছে।

আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দেওয়ার পর রাশিয়ায় একের পর এক যুদ্ধবিরোধী সমাবেশ শুরু হয়। দু’টি সদ্য স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃত প্রদেশ দোনেটস্ক ও লোহানেস্কে ইউক্রেন সরকারের আগ্রাসন থেকে রক্ষার দাবি করে সামরিক অভিযান শুরু করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুরু থেকেই ক্রেমলিন বলে আসছে, ইউক্রেনকে দখল করার কোনো উদ্দেশ্যে মস্কোর নেই। তবে ইউক্রেনকে সামরিকক্ষেত্রে নিবৃত্ত করতে বা নব্য নাৎসিদের খেদাতে পুতিন এ অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির খবরে আরও বলা হয়, অন্যদিকে ইউক্রেনের শীর্ষ কূটনীতিক, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা সামরিক অভিযানের পরপর দাবি করেন, পুতিন ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ চালিয়েছেন। রুশ সামরিক অভিযানের কারণে শান্তিপূর্ণ ইউক্রেনীয় শহরগুলো অচল হয়ে পড়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযানকে তার দেশে রুশ আগ্রাসন বলে অভিহিত করেছিলেন কুলেবা।

সারাবাংলা/আইই

ইউক্রেন টপ নিউজ রাশিয়া

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর