‘বাজারের আগুন রাজপথে ছড়িয়ে পড়লে সরকারের গদি রক্ষা হবে না’
১ মার্চ ২০২২ ২৩:২৯
ঢাকা: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পরিস্থিতিকে বাজারে আগুন ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এ বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সাইফুল হক বলেন, বাজারের আগুন রাজপথে ছড়িয়ে পড়লে সরকার গদি রক্ষা করতে পারবে না। বাজারের আগুন আর মানুষের মনের আগুন এক হয়ে বিস্ফোরিত হলে সরকার দমন-নিপীড়ন চালিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারবে না।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, তিনি বলেন দেশের সমস্যা খাদ্য সংকট নয়। এটি মুনাফাখোর বাজার সিন্ডিকেটের চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারিতার ফল। সরকারের সঙ্গে অশুভ যোগসাজশে দেশের মানুষকে এরা পুরোপুরি জিম্মি করে ফেলেছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বলেন, সরকারের উন্নয়নের রাজনীতি এখন বিসিবির ট্রাকের সামনে গড়াগড়ি খাচ্ছে। সরকারের কথিত এই উন্নয়ন নতুন করে সাড়ে তিন কোটি মানুষকে দরিদ্র করেছে। দেশে বেকারের মিছিল কেবল দীর্ঘ করছে। স্বল্প আয়ের কোটি কোটি মানুষের খাদ্যগ্রহণ কমিয়ে দিয়েছে। মন্ত্রীদের বক্তব্য ও আচরণ খুবই নিষ্ঠুর ও অমানবিক। অন্যদিকে গত দুই বছরে ১৭ হাজারের বেশি নতুন কোটিপতির জন্ম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য মানুষের ভোটের দরকার না হওয়ায় সরকার দেশের মানুষকে যেন আল্লাহর ওয়াস্তে ছেড়ে দিয়েছে। প্রতিটি ভোগ্যপণ্য আর সেবার দাম বাডিয়ে মানুষের জীবন-জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। জীবন, জীবিকা রক্ষা এবং অধিকার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় রাজপথে গণসংগ্রাম-গণপ্রতিরোধ জোরদার করার ডাক দেন তিনি।
বিক্ষোভ সমাবেশে পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী বলেন, ঘরে বসে হা হুতাশ করে বাঁচা যাবে না। গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দুর্নীতিবাজ, দুর্বৃত্ত ও সিন্ডিকেটের পাহারাদার গণবিরোধী সরকারকে বিদায় দিতে সব প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, ফিরোজ আহমেদ, সিকদার হারুন রশীদ মাহমুদ, সাইফুল ইসলাম, অরবিন্দু বেপারি বিন্দু, স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, কামরুজ্জামান ফিরোজসহ অন্যরা।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল তোপখানা রোড, পুরানা পল্টন ও বিজয়নগর প্রদক্ষিণ করে সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর