Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে কোকেন চোরাচালান মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২ মার্চ ২০২২ ১৯:০১

চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালানে কোকেনের উপস্থিতি পাওয়া যায় (ফাইল ছবি)

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের অবৈধ চালান আটকের ঘটনায় চোরাচালান আইনে দায়ের হওয়া মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

বুধবার (২ মার্চ) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়ার আদালতে ওই মামলায় তিন জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। একই সাক্ষীরা একই ঘটনায় দায়ের হওয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায়ও এদিন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

তিন সাক্ষী হলেন- শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের তৎকালীন উপ-পরিচালক মশিউর রহমান ও সহকারি পরিচালক ওমর ফারুক এবং চট্টগ্রাম বন্দরের বেসরকারি বার্থ অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন।

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, সাক্ষী মশিউর রহমান ও ওমর ফারুক তিন আসামিকে আটক করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. কামরুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন। সাক্ষ্যে তারা কোকেন আমদানির সঙ্গে তিনজনের জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ ও এর ভিত্তিতে তাদের আটকের বিষয় তুলে ধরেন।

এছাড়া কোকেন নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাসের নথিপত্র জব্দের সময় উপস্থিত সাক্ষী হিসেবে মোশাররফ হোসেন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এর আগে, ৭ ফেব্রুয়ারি ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশের পর চোরাচালান মামলায় প্রথম তিন জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল একই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর গত তিন বছর ধরে বিচারাধীন মাদক আইনের মামলায় সর্বশেষ তিনজনসহ এ পর্যন্ত ২৫ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

উভয় মামলায় আসামি ১০ জন হলেন- আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, কসকো-বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক এ কে এম আজাদ, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেল, পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, লন্ডনপ্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের বকুল মিয়া।

আসামিদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা সোহেল, মোস্তফা কামাল ও আতিকুর রহমান কারাগারে আছেন। জামিনে আছেন সাইফুল ইসলাম ও একেএম আজাদ। আসামি নুর মোহাম্মদ, ফজলুর রহমান, বকুল মিয়া, মোস্তাক আহমেদ ও মেহেদী আলম পলাতক আছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৬ জুন চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বর্তমানে পুলিশ সুপার) এস এম তানভির আরাফাতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এরপর ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। বলিভিয়া থেকে আসা চালানটির প্রতিটি ড্রামে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল ছিল। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। চালানটি উরুগুয়ের মন্টিভিডিও থেকে জাহাজীকরণ করা হয়েছিল। পরে তা সিঙ্গাপুর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

বিজ্ঞাপন

কোকেন জব্দের ঘটনায় চট্টগ্রামের বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। আসামি করা হয় চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদকে। র‌্যাব নুর মোহাম্মদসহ ১০ জনকে আসামি করে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

একই ঘটনায় চোরাচালানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় অধিকতর তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৯ জুন সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে জমা পড়ে। এতেও আসামি করা হয় ১০ জনকে।

সারাবাংলা/আরডি/একেএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

গুলশানে দুইজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫৫

ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩৩

সম্পর্কিত খবর