Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মৎস্য চাষিকে কুপিয়ে হত্যা: ৬ বাড়ি-দোকানে গ্রামবাসীর আগুন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৫ মার্চ ২০২২ ১৮:৩৭

বগুড়া: কাহালুতে এক মৎস্য চাষিকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে হামলাকারী ও তার পরিবারের ৬টি বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খবর পেয়ে আগুন নেভাতে গেলে তাদেরও বাধা দেওয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে গ্রামবাসীকে হটিয়ে দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ব্যবস্থা করে।

নিহত সেকেন্দার আলী (৫৫) কাহালু উপজেলার সদর ইউনিয়নের জয়তুল গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে। শাপলা মৎস্য খামারের মালিক সেকেন্দার আলী গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন। শনিবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বিজ্ঞাপন

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কাহালু সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আমিরুল ইসলাম জানান, গত ২ মার্চ তাদের গ্রামে এক ব্যক্তি মারা যান। স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজার নামাজ হওয়ার কথা। কিন্তু উন্নয়নের জন্য সদ্য মাটি ভরাট করার কারণে মাঠটি অসমতল ছিলো। গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে সেকেন্দার আলী সেখানে গিয়ে জানাজার আগে মাঠটি সমতল করতে উদ্যোগ নেন। কাজ শেষে রাত সোয়া ৭টার দিকে যখন গ্রামবাসী জানাজায় দাঁড়াবে সেই মুহূর্তে হামলার ঘটনা ঘটে।

ইউপি সদস্য জানান, ইউনিয়ন তাঁতি লীগের সভাপতি রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে ১০ জনের সশস্ত্র যুবক অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এসময় তারা এলোপাথারি ভাবে সেকেন্দারকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। গুরুতর আহত সেকেন্দারকে নিয়ে গ্রামবাসী প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। সেখান থেকে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।

পরে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে প্রথমে পঙ্গু হাসপাতালে এবং পরে হার্ট ফাউন্ডেশনে নেওয়া হলে শনিবার সকাল ১০টায় মারা যান সেকেন্দার। তার মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছলে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী রাকিবের বাবা ফজলু ও চাচা নজরুল ইসলাম, অপর হামলাকারি জিহাদ, বুলু হাজী, সজীব ও মুনেরসহ ৬ জনের বাড়িতে এবং নজরুলের মোদীর দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয় বলেও উল্লেখ করেন ইউপি সদস্য আমিরুল।

বিজ্ঞাপন

কাহালু ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রুবেল রানা জানান, আগুন লাগানোর খবর পেয়ে জয়তুল গ্রামে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি গেলে ক্ষিপ্ত জনতা আগুন নেভাতে বাধা দেয়। পরে পুলিশ পৌঁছে জনতাকে হটিয়ে দিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়।

কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমবার হোসেন জানান, পূর্ব বিরোধের কারণে সেকেন্দারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে গ্রামবাসী ৪টি বাড়িতে আগুন দেয়। পরে তা নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘সেকেন্দারের চিকিৎসার কারণে ঘটনার দিন থেকেই পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় অবস্থান করায় থানায় কোনো মামলা বা অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে হামলার পর থেকে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে।’

সারাবাংলা/এমও

কুপিয়ে হত্যা গ্রামবাসীর আগুন টপ নিউজ ফায়ার সার্ভিস

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর