আরও বেশি পাটপণ্যের মেলা করার নির্দেশ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর
৬ মার্চ ২০২২ ১৮:১৮
ঢাকা: বহুমুখী পাটপণ্যের ব্যবসা বাড়াতে আরও বেশি হারে পাটপণ্যের মেলা করার নির্দেশ দিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।
রোববার (৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) বহুমুখী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জেডিপিসি প্রাঙ্গণে চলমান তিন দিনের এই মেলা শেষ হবে আগামী ৮ মার্চ। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই মেলা চলবে। এবার মেলায় অংশ নিয়েছে ৩৩টি প্রতিষ্ঠান। তারা বাহারি পাটপণ্যের পসরা সাজিয়েছে। বহুমুখী পাটপণ্য এখন ২৮২টি। মেলায় রয়েছে পাটের প্রায় সব পণ্যের উপস্থিতি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জেডিপিসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘যত বেশিসম্ভব পাটপণ্যের মেলা করুন। এতে দেশে পাটপণ্যের চাহিদা বাড়বে। উদ্যোক্তাদের বিক্রি বাড়বে। এতে তারা উৎসাহী হবে দেশের বাইরেও পাটপণ্য রফতানি করতে।’
তিনি বলেন, ‘এ বছর মেলা কয়টি করবেন, আমাদের জানাবেন। মেলা হলে উদ্যোক্তারা লাভবান হবে। অনেক উদ্যোক্তাই দেশের বাইরে যেতে পারে না। মেলা হলে তারা লাভবান হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পাটপণ্য দিন দিন গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। এখন আমাদের উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে আমরা ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি। আমরা আগ্রহী উদ্যোক্তা তৈরি করতে। কারণ উদ্যোক্তা ছাড়া দেশের কোনো ভবিষ্যত নেই।’
জেডেপিসি আইন করার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, ‘জেডিপিসি আইন করলে উদ্যোক্তারা কতটুকু লাভবান হবে, সেটা আগে বুঝতে হবে৷ আইন করতে হলে ভালো হবে না খারাপ হবে, আগে সেটি যাচাই করতে হবে। দেশের জন্য যেটি মঙ্গলজনক, আমরা সেটিই করব। উদ্যোক্তা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। উদ্যোক্তা ও সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে আইন হবে।’
জেডেপিসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, ‘বহুমুখী পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে খরচ কমাতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। কারণ কাঁচা পাটের দাম আর কমবে বলে মনে হয় না।’
সচিব আরও বলেন, ‘এবার মেলার আয়োজন নিয়ে আমরা দ্বিধায় ছিলাম— করোনার কারণে মেলা হবে কি হবে না। তাই ছোট জায়গায় মেলা হচ্ছে। এখানে সীমিত পরিসরেই মেলা হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে মেলা হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে জেডেপিসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘মূল্য সংযোজিত বহুমুখী পাটপণ্যের চাহিদা বাড়ছে। বহুমুখী পাটপণ্য রফতানি করে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব। সব মিলিয়ে পাট খাতের রফতানি আয় ৫ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে
গোলাম দস্তগীর গাজী জেডিপিসি টপ নিউজ পাটমন্ত্রী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী