মাদরাসায় ছাত্র খুনের নেপথ্যে যৌন নিপীড়ন, ধারণা পুলিশের
৬ মার্চ ২০২২ ১৭:১৮ | আপডেট: ৬ মার্চ ২০২২ ২১:২২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় মাদরাসার ভেতর থেকে শিক্ষার্থীর গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সুনির্দিষ্টভাবে খুনের কারণ জানতে পারেনি পুলিশ। খুনের সঙ্গে জড়িত এমন কাউকেও সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করতে পারেনি। তবে পুলিশের ধারণা, মাদরাসার অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়নের কোনো ঘটনা থেকে হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
মাদরাসা ছাত্র ইফতেখার মালিকুল মাশফি খুনের ঘটনায় তার মামা মাসুদ খান বাদি হয়ে শনিবার (৫ মার্চ) রাতে বোয়ালখালী থানায় মামলা করেছেন। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান জানিয়েছেন, মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে আসামি করা হয়নি। তবে এজাহারে তিন শিক্ষকের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তিন শিক্ষক হলেন— মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ জাফর আহমদ, হাফেজ মো. রুস্তম আলী ও শাহাদাত হোসেন। লাশ উদ্ধারের পরই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম রশিদুল হক সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, তিন শিক্ষককে রোববার দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে জাফরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
নিহত ইফতেখার মালিকুল মাশফি (৭) বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের ফকিরাখালী গ্রামের প্রবাসী আব্দুল মালেকের ছেলে। সে চরণদ্বীপ দরবার শরীফ পরিচালিত আল্লামা শাহসূফী অছিয়র রহমান মাদরাসার হেফজখানা বিভাগের কায়দা শাখার ছাত্র ছিল। শনিবার সকালে মাদরাসার অভ্যন্তরে একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে মাশফির গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।
হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ সুপার রাশিদুল হক সারাবাংলাকে বলেন, এটা আমরা এখনও নিশ্চিতভাবে জানতে পারিনি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, মাদরাসায় সবসময় যে ধরনের ঘটনা ঘটে কিংবা যে ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়, সে ধরনের কোনো ঘটনার জেরে হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
যৌন নিপীড়নের ঘটনা কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে ধরনের কিছু হতে পারে। জাফরকে রিমান্ডে পেয়েছি। জিজ্ঞাসাবাদে আসল ঘটনা বের হবে। ২-১ দিনের মধ্যে বিষয়টি আমরা সুনির্দিষ্টভাবে সবাইকে জানাতে পারব।
সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ