ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে দেশে ঢুকতে লাগবে না আরটি-পিসিআর টেস্ট
৮ মার্চ ২০২২ ২৩:১৪
ঢাকা: বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য কোভিড-১৯ শনাক্তে আরটি-পিসিআর টেস্টের বাধ্যবাধকতা তুলে নিয়েছে সরকার। এর ফলে কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে ঢুকতে হলে আর কাউকে আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে না। তবে এর জন্য ওই যাত্রীকে করোনা ভ্যাকসিনের পূর্ণাঙ্গ ডোজ নেওয়া থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের পূর্ণাঙ্গ ডোজ নেওয়া থাকলে দেশের যেকোনো বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রী প্রবেশ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ওই যাত্রী যদি ভ্যাকসিনের পূর্ণাঙ্গ ডোজ নিয়ে থাকেন এবং তার ভ্যাকসিন সনদ সঙ্গে থাকে, তাহলে তাকে বাংলাদেশে ঢোকার জন্য আরটি-পিসিআর টেস্ট করতে হবে না।
যাদের ভ্যাকসিন সনদ নেই, তাদের জন্য করণীয় জানিয়ে বেবিচক প্রজ্ঞাপনে বলছে, যেসব যাত্রীর ভ্যাকসিন সনদ থাকবে না, তাদের যাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে বিমানবন্দরে যেতে হবে। তবে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য কোনো ধরনের নমুনা পরীক্ষা করতে হবে না। তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্যান্য নির্দেশনাগুলো মানতে হবে।
এদিকে, বাংলাদেশ থেকে যারা অন্যান্য দেশে যাবেন, তাদের জন্যও সেসব দেশের ভ্রমণ বিধিনিষেধ মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে বেবিচক। সংস্থাটি বলছে, ভ্যাকসিন নেওয়া থাকুক বা না থাকুক, কোনো যাত্রীর করোনার লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতালে নিয়ে নমুনা পরীক্ষা করাবে। পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাকে নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে সাত দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে।
এর আগে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বেবিচকের সবশেষ প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়। বেবিচকের সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রবেশ করা যাত্রীদের ৪৮ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর টেস্ট করিয়ে নেগেটিভ সনদ নিয়ে আসতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ উপসর্গ রয়েছে— এমন যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা করতে উড়োজাহাজের ইকোনমি ক্লাস কেবিনের অন্তত শেষের সারি ফাঁকা রাখতে হবে।
সারাবাংলা/এসজে/টিআর