Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফাঁসির দাবি নিয়ে রাস্তায় এসিড আক্রান্ত যুবক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ মার্চ ২০২২ ১৮:৩৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সামান্য ঘটনার জেরে এসিড মেরে ঝলসে দেওয়া হয়েছে মুখমণ্ডল, কেড়ে নেওয়া হয়েছে দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি। ছয় বছর ধরে এই নির্মমতার বিচারের অপেক্ষায় ছিলেন ঘটনার শিকার তমাল। কিন্তু আদালতের রায়ে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। আসামিদের ফাঁসির দাবি জানাতে মা-বাবাকে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন তমাল।

বুধবার (৯ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে তমাল ও তার বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রতিবাদে শামিল হন তাদের স্বজন-প্রতিবেশিরাও।

বিজ্ঞাপন

এসিড নিক্ষেপের শিকার তমাল চন্দ্র দে (৩০) চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র দে’র ছেলে। তাকে এসিড নিক্ষেপের দায়ে সুমিত ধর নামে একজনকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলার আসামি সুমিতের স্ত্রী মৌমিতা দত্তকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নগরীর কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জে গুডস হিলের পাশে তমাল এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছিলেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি তার বাবা বাদি হয়ে মৌমিতা-সুমিতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করা মৌমিতা ও সুমিত পরিবারের অজ্ঞাতে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বিয়ে করে আলাদাভাবে বসবাস শুরু করেছিলেন। স্নাতক পাস তমাল ছিল মৌমিতার দূর সম্পর্কের আত্মীয়। মৌমিতা তার বিয়ের কথা গোপন রেখে তমালের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু সেটা জানতে পেরে তমাল তাকে চড় দেয়। এর প্রতিশোধ নিতে মৌমিতার প্ররোচনায় তমালকে ডেকে নিয়ে সুমিত তার মুখে এসিড মারার অভিযোগে মামলা হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু আদালতের রায়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী বিচার না হওয়ার কথা জানিয়েছেন তমাল। প্রতিবাদী অবস্থানের সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে আমার মামলাটা চলেছে। আশাবাদী ছিলাম যে, সুমিত আর মৌমিতা দু’জনেরই ফাঁসি হবে। অতীতে এসিড নিক্ষেপের বিভিন্ন মামলায় দেখেছি যে এসিড ছুঁড়েছে তার ফাঁসির আদেশ হয়েছে। অথচ আমার মামলায় হয়েছে উল্টো। মৌমিতার কারণে আমার এই অবস্থা। আমার দুই চোখ হারিয়েছি। আর কোনোদিন স্বাভাবিক জীবনের ফিরতে পারব না। তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।’

‘মৌমিতা-সুমিত দু’জনই সমান অপরাধী। আমি দু’জনের ফাঁসি চাই।’— বলেন তমাল চন্দ্র দে

তমালের মা অর্চনা রাণী দে বলেন, ‘আমার একটা মাত্র ছেলে। আমার ছেলের জীবনটা তারা নষ্ট করে দিয়েছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই। দু’জনকে ফাঁসি দেয়া হোক।’

বাবা বাবুল চন্দ্র দে বলেন, ‘যারা মামলার তদন্ত করেছে, যারা আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে তারাও এ রায়ে সন্তুষ্ট হয়নি। তারা এ রায় মেনে নিতে পারছে না। আর আমরা তো তমালের বাবা-মা। আমরা কিভাবে মেনে নেব ? আমরা বিচার পাইনি। দু’জনের ফাঁসি হলে ন্যায়বিচার হবে।’

ঘটনার দুই বছর পর ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ রাজধানীর ভাটারা থানার ভাড়া বাসা থেকে সুমিত ও মৌমিতাকে গ্রেফতার করেছিল চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা ‍পুলিশ। এক বছরের মাথায় জামিনে গিয়ে দু’জনই পলাতক হয়ে যান।

সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ

এসিড আক্রান্ত যুবক টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

চট্টগ্রামে খালে ভাসছিল অর্ধগলিত লাশ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৩

বিএসইসি‘র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১

সম্পর্কিত খবর