ঠাকুরগাঁওয়ে দেশি মাছ কিনতে ক্রেতাদের প্রতিযোগিতা
১১ মার্চ ২০২২ ১৯:০৭
ঠাকুরগাঁও: আগে বলা হতো ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। আর তা পরিণত হয়েছিল প্রতিপাদ্যে। কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ে এখন আর নেই সেই প্রতিপাদ্যের বালাই। একসময় গ্রাম গঞ্জের হাট-বাজার গুলোতে দেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছে সয়লাব দেখা যেতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে তা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। এখন দেশি মাছের দেখা মিললে যেন মনে হয় মাছের প্রদর্শনী বসেছে। আর সেই মাছ দেখতে যেমন ভিড় জমাচ্ছেন দর্শকরা, রীতিমতো প্রতিযোগিতা করে ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে মাছ।
শুক্রবার (১১ মার্চ) সকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শহরের বালিয়াডাঙ্গী-ঠাকুরগাঁও সড়কে এমনই চিত্র দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, মাঝেমধ্যে নদীর ছোট মাছ উঠে এই বাজারে। আর এই মাছ কিনতে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। মাছ দেখতে ঘিরে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। পথচারীরাও উঁকি দেন মাছ দেখতে। অনেকে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা থামিয়ে একটু দেখার চেষ্টা করেন।
উপজেলা শহরের একাধিক বাসিন্দা বলেন ‘নদীর মাছ দেখতে এসেছি। এখন বাজারে এই মাছ তেমন পাওয়া যায় না। অনেক দাম। নেওয়া হলো না।’
আইয়ুব আলী নামে একজন বলেন, ‘দাম বলার সাহস পায়নি। যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, কিভাবে বলবো। মাছের দোকানদার পাঁচমিশালী ছোট মাছের কেজি প্রতি দাম হাঁকিয়েছেন ৬৫০ টাকা। দর কষাকষি করছেন প্রায় ১০ জন। বাকিরা সবাই দর্শক।’
পরে লাল মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী ৭৭০ টাকা দরে ২ কেজি নদীর ছোট মাছ কেনেন ১ হাজার ৫৪০ টাকায়। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরে নদীর ছোট মাছ খুঁজছি। তবে পাচ্ছিলাম না, আজ পেলাম। তাই কোনোভাবেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।’
ঠাকুরগাঁও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. খালিদুজ্জামান বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে যাওয়ায় দেশি মাছ পাওয়া কষ্টসাধ্য। যেখানে দেশি মাছ পাওয়া যাবে সেগুলো এখন সংকুচিত হয়ে গেছে। সরবরাহ কম থাকায় দাম তাই দাম অনেক বেশি। তবে মৎস্য বিভাগ দেশীয় মাছ উৎপাদনে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।’
সারাবাংলা/এমও