ঢাকা: চাকরিতে পুনর্বহাল করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে চাকরিচ্যুত উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন।
রোববার (১৩ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করা হয়। মো. শরীফ উদ্দিনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক রিটটি দায়ের করেন।
রিট দায়েরের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক বলেন, রিটে দুদকের চাকরিবিধি ৫৪-এর ২ ধারাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এছাড়া শরিফ উদ্দিনকে অপসারণের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়েছে।
আগামীকাল সোমবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের ওপর শুনানি হতে পারে। আদালতে শরিফ উদ্দিনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলনের শুনানি করার কথা রয়েছে।
এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে ১০ আইনজীবীর রিটের আদেশের জন্য আগামী ১৫ মার্চ দিন নির্ধারণ করা রয়েছে।
গত ১০ মার্চ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই দিন নির্ধারণ করেন।
ওই দিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনায় রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। রিটে দুদক চেয়ারম্যান, সচিব, কমিশনার (অনুসন্ধান), কমিশনার (তদন্ত), পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) এবং শরীফ উদ্দীনকে বিবাদী করা হয়।
রিটে চাকরিচ্যুত মো. শরীফ উদ্দিনের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে স্বাধীন-নিরপেক্ষ তদন্ত চাওয়া হয়। এরও আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি শরীফ উদ্দিনের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়ে ১০ আইনজীবী হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে একটি চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে শরীফ উদ্দীনের জীবনের নিরাপত্তা বিধান ও চাকরিচ্যুতির ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
পরে চিঠিটি গ্রহণ করে এ বিষয়ে রিট দায়েরের পরামর্শ দেন হাইকোর্ট। এরপর গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে স্বাধীন-নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
রিটকারী ১০ আইনজীবী হলেন— মোহাম্মদ শিশির মনির, রেজওয়ানা ফেরদৌস, জামিলুর রহমান খান, উত্তম কুমার বণিক, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. তারেকুল ইসলাম, মীর ওসমান বিন নাসিম, সৈয়দ মোহাম্মদ রায়হান, মো. সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নওয়াব আলী।