চবি উপাচার্যকে হাইকোর্টের শোকজ
১৪ মার্চ ২০২২ ১৬:২৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারসহ চারজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে হাইকোর্ট। তাদের গত বছরের ২৪ নভেম্বর রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো আবেদনটি ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
সোমবার (১৪ মার্চ) রিট আবেদনকারী ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি পদে সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম নাজমুল ইসলাম খানকে বহাল রাখা কেন অবৈধ হবে না- এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।
সহকারী অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী বিভাগে সহকারী অধ্যাপক থাকলে তাদের মধ্যে সিনিয়র শিক্ষককে সভাপতির দায়িত্ব দিতে হবে। আমাদের যে বর্তমান সভাপতি আছে তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার নির্দিষ্ট কোনো মেয়াদ নেই। যদি বিভাগে কোনো সহকারী অধ্যাপক না থাকে তাহলে অন্য বিভাগের সিনিয়র সহকারী অধ্যাপককে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া যায়।
তিনি বলেন, কিন্তু কেউ সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি বা নিয়োগ পেলে ওই সভাপতি পদ বাতিল হয়ে যায়। গত বছরের ২৪ নভেম্বর আমরা বিভাগের তিনজন শিক্ষক রেজিস্ট্রার বরাবর বিভাগের শিক্ষকদের মধ্য থেকে সভাপতি নিয়োগ দেওয়ার আবেদন করি। সেখান থেকে আমরা কোনো জবাব পাইনি। সেজন্য আমরা আদালতের দারস্থ হয়েছি।
রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসান বলেন, আমরা আনঅফিশিয়াল একটা রিট পিটিশন পেয়েছি। আইনের বাইরে যাব না। কোর্টে গিয়ে কথা বলব ও আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। সেসময় সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী প্রথম বিভাগীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে প্রভাষক (স্থায়ী পদে) হিসেবে ওই বিভাগে তিন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী অবসরে গেলে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এবিএম নাজমুল ইসলাম খানকে ২০২০ সালের ২ জুলাই নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগে সভাপতি হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
গত বছরের ৩০ মে বিভাগটির দুইজন প্রভাষক পদোন্নতি পেয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে বিভাগে যোগদান করেন। পরে ২৪ নভেম্বর সভাপতিকে মাধ্যম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্ট ১৯৭৩ এর সংবিধির ধারা ৭ অনুযায়ী, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগে বিভাগীয় শিক্ষকদের মধ্য থেকে সভাপতির দায়িত্ব প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার নিমিত্তে একটি পত্র প্রদান করা হয়। তবে কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন অগ্রাহ্য করে ড. এবিএম নাজমুল ইসলাম খানকেই বিভাগীয় সভাপতি হিসেবে মেনে নিতে পরামর্শ দেন বলে অভিযোগ করেন বিভাগটির তিন শিক্ষক।
সারাবাংলা/সিসি/এএম