Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বর্ণালংকার ও টাকার লোভেই খুন করে গাড়িচালক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৬ মার্চ ২০২২ ১৫:৫০

ঢাকা: রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় আফরোজা সুলতানাকে (৩২) গলা কেটে হত্যা করেন তারই গাড়িচালক। শুধুমাত্র স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিতে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে সে।

বুধবার (১৬ মার্চ) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব তথ্য জানান।

আফরোজা সুলতানা রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরে সেভেন সার্কেল বাংলাদেশ লিমিটেড এমআইএস ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মাত্র দু’মাস আগে গত জানুয়ারিতে বিয়ে করে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার একটি বাসায় উঠেছিলেন আয়ান-আফরোজা দম্পতি। আফরোজার স্বামীও একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

গত ১৩ মার্চ ওই বাসার সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাড়িতে করে বাসায় ফেরেন আফরোজা। লিফট দিয়ে উঠে যান দোতলার নিজ ফ্ল্যাটে। কিছুক্ষণ পর গাড়িচালক হৃদয় বেপারী উপরে যান। প্রায় এক ঘণ্টা পর তাকে নিচে নেমে আসতে দেখা যায়। এর ১৫-২০ মিনিট পরই বাসায় ফিরে বাথরুমে স্ত্রী আফরোজার গলাকাটা মরদেহ আবিষ্কার করেন আয়ান।

ডিবি প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘হৃদয় বেপারীর বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট। রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমের গাড়িচালক আসামি হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর সে কীভাবে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত এবং স্বর্ণালংকার চুরি করেছে তা দেখিয়ে দেয়। তার দেওয়া তথ্যে পাশের নির্মাণাধীন ভবনের ফাঁকা জায়গা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও হৃদয়ের বাসার পাশে বালুর নিচে লুকিয়ে রাখা চুরি করা স্বর্ণালংকারসহ সংশ্লিষ্ট আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

হাফিজ আক্তার বলেন, ‘গ্রেফতার হৃদয় বেপারী পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। ২০০৫ সালে ড্রাইভিং শিখে বিভিন্ন জায়গায় গাড়িচালক হিসেবে কাজ করে। সর্বশেষ ২০১৫ থেকে সেভেন সার্কেল বাংলাদেশ লিমিটেডে কাজ করে সে।’

ডিবি প্রধান বলেন, ‘আফরোজার গাড়িচালক হৃদয় অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন। ইতোমধ্যে তার তিন মাসের বাসাভাড়া বাকি পড়েছে। অভাবে পড়ে এক পর্যায়ে কিছু টাকা হলে দূরে কোথাও গিয়ে অন্য ব্যবসা করে সংসার চালানোর ভাবনা মাথায় আসে তার। ধারণা ছিল, তার ম্যাডামের (আফরোজার) কাছে অনেক টাকা ও স্বর্ণালংকার আছে। কারণ সে প্রায়ই ভিকটিম আফরোজা সুলতানাকে বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা জমা দিতে দেখতো। এরপরই টাকা ও স্বর্ণালংকারের জন্য আফরোজাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে। মূলত অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্যই আসামি হৃদয় ব্যাপারী এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে।

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

খুন টপ নিউজ ড্রাইভার

বিজ্ঞাপন

আদানি গ্রুপের নতুন সংকট
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬

নতুন ইসির শপথ রোববার দুপুরে
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩

আরো

সম্পর্কিত খবর