Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডুবে যাওয়া জাহাজের আরেক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ২

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২২ মার্চ ২০২২ ১৫:৫৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে আবুল খায়ের গ্রুপের মালিকানাধীন লাইটার জাহাজ ডুবে নিখোঁজদের মধ্যে আরও একজনর লাশ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ছোয়াখাল উপকূল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নৌ পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কীর্তিমান চাকমা সারাবাংলাকে জানান, লাশটি আবুল খায়ের গ্রুপের ডুবে যাওয়া জাহাজ এমভি টিটু-১৪ এর গিজারম্যান নূরুল আফসার লাবলুর (৩৮)। তিনি মীরসরাই জেলার জোরারগঞ্জ থানার দক্ষিণ ভূঁইয়া গ্রামের সুলতান আহমদের ছেলে।

বিজ্ঞাপন

ঘটনাস্থলে যাওয়া নৌ পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের কুমিরা ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আবুল খায়ের গ্রুপের জাহাজ ডুবে আরও তিনজন নিখোঁজ ছিল। তাদের সন্ধানে আবুল খায়ের গ্রুপ এবং লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন একটি লাইটারেজ জাহাজে করে সাগরে ঘুরছিলেন। নিখোঁজ তিনজনের স্বজনেরাও ছিলেন। কোথাও কোনো লাশ ভেসে আছে কি না সেটা তারা দেখছিলেন। সন্দ্বীপ চ্যানেলে একটি জাহাজ থেকে খবর আসে যে, সেখানে একটি লাশ ভাসছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা দ্রুত সেখানে যান। লাশটি উপুর হয়ে ভাসছিল। সেটা দেখেই লাবলুর ভাই ও ছেলে তাকে শনাক্ত করেন। পরে লাশটি ভেসে ভাটিয়ারির দিকে চলে আসে। আমরা খবর পেয়ে সেটি উদ্ধার করে সুরতহাল করেছি। আমাদের সামনে লাবলুর ভাই ও ছেলে আবার শনাক্ত করেন। জাহাজডুবির ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় মামলা আছে। আমরা লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করছি।’

গত ১৯ মার্চ ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরের আলফা অ্যাংকারেজে পারকি সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি সাঙ্গু দোভাষিবাজারের অদূরে বঙ্গোপসাগরে সিমেন্ট ক্লিঙ্কারবোঝাই জাহাজটি ডুবে যায়। বন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জাহাজে নাবিক ও শ্রমিকসহ ১৪ জন ছিলেন। ঘটনার পরপরই কোস্টগার্ড ৫ জন এবং বন্দরের টিম একজনকে জীবিত উদ্ধার করে।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় নিখোঁজ ছিলেন আরও ছয়জন। একইদিন রাতের মধ্যে কোস্টগার্ড জীবিত অবস্থায় আরও দুইজনকে উদ্ধার করে। সোমবার (২১ মার্চ) ‍দুপুরে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি উপকূলে পাওয়া যায় আরও এক লাশ। এখনও দুইজন নিখোঁজ আছেন।

সারাবাংলা/আরডি/এএম

আবুল খায়ের গ্রুপ জাহাজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর