Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৫ মার্চ ২০২২ ২১:৩০

ওবায়দুল কাদের, ফাইল ছবি

ঢাকা: একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সকল শক্তিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) বিকেলে গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যৌথ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

দলের নেতাদের প্রতি জনসভার যে বিষয়বস্তু তার ওপর বক্তব্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিষয়বস্তু জানতে হবে। কোথাকার গণহত্যা, কীসের গণহত্যা, কে স্বীকৃতি দেবে?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের জাতিসংঘে স্বীকৃতি পাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই দুইটি দিবস জাতিসংঘে স্বীকৃতি পায়। অথচ, গণহত্যার স্বীকৃতি; যেটা প্রয়োজন ছিল, অন্য কোনো সরকার তার চেষ্টাও করেনি। এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। এ নিয়ে বছরে এক দিন চেঁচামেচি করে কোনো লাভ হবে না, দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে না। জাতিসংঘে এজেন্ডা নিয়ে কাজ করতে হবে। সুনির্দিষ্ট কর্মসূচির পাশাপাশি লেগে থাকতে হবে বলে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, হঠাৎ করে গিয়ে বা বছরে একদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ একটা আয়োজন করলে আমাদের নেতারা ভাষণ দেবেন। কিন্তু এই ভাষণে কী হবে?

বিশ্বে অনেক হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, পাকিস্তান আজ পর্যন্ত একাত্তরের গণহত্যার জন্য কোনো ফোরামে ক্ষমা চায়নি। পাকিস্তান আমাদের তোয়াজ করে না। তারা আমাদের ঘাড়ের ওপর তাদের নাগরিকদের চাপিয়ে রেখেছে বছরের পর বছর। পাকিস্তান যুদ্ধ থেকে আজ পর্যন্ত পাওনা বুঝিয়ে দেয়নি। পাকিস্তান বিশ্বের কোনো ফোরামে এ নিয়ে জবাবদিহি করেনি। আমাদের দাবি, আমাদেরকে আদায় করতে হবে। এই দাবিকে পার্টি এজেন্ডা হিসেবে নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বাস্তবতা বুঝে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে স্বোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে আজকে যে অবস্থা, আমরা এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার লক্ষ্যে গণহত্যা দিবস পালন করছি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের দোসররা বিভিন্নভাবে বাংলার মাটিতে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। পচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যার পর জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ বন্ধ করেছিল।

তিনি শেখ হাসিনার সরকারের টানা মেয়াদে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাস্তবায়ন বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তিনি করেছেন। তার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে একাত্তরের গণহত্যার পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় করে নেওয়ার। সেই সাহস সেই মনোবল, সেই নেতৃত্বের দক্ষতা একমাত্র শেখ হাসিনার আছে।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান হিরণসহ মহানগর নেতারা।

সারাবাংলা/এনআর/একেএম

ওবায়দুল কাদের গণহত্যা দিবস

বিজ্ঞাপন

খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমলো
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৮

আরো

সম্পর্কিত খবর