সাভার স্মৃতিসৌধ থেকে: স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জনসাধারণের ঢল নেমেছে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সকাল থেকেই উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে স্মৃতিসৌধ ও আশপাশের এলাকায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও স্কুল-কলেজ ছাড়াও বীর শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন নানান শ্রেণি-পেশার মানুষজন।
শনিবার (২৬ মার্চ) ভোর পাঁচটা ৫৫ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। পরপরই শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
রাষ্ট্রীয় আয়োজন শেষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হয় সব শ্রেণিপেশার মানুষের জন্য। এরপরই জনসাধারণের ঢল নামে স্মৃতিসৌধে। শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষজনের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল বয়সে তরুণ।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
স্মৃতিসৌধে আসা নাঈম হাসান নামে এক তরুণ বলেন, এই দেশটাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। কিন্তু দুর্নীতি গ্রাস করে ফেলেছে। দুর্নীতির কারণে অনেক দেশ শেষ হয়েছে। নতুন উদাহরণ হচ্ছে শ্রীলংকা। সেখানে চালের কেজি ৫০০ টাকা আর এক কাপ চায়ের দাম ১০০ টাকা উঠেছে। বাংলাদেশটাকে আমরা সেরকম দেখতে চাই না। এ জন্য দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। তবেই একমাত্র স্বাধীনতা দিবসের উদ্দেশ্য সফল হবে।
ভোর থেকে অপেক্ষা করে স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করেছেন কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। তাদের একজন রবিউল ইসলাম মিলন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে চাকরিতে প্রবেশে মোটা অংকের ঘুষ ও স্বজনপ্রীতি। চাকরিতে প্রবেশে দুর্নীতি ঠেকাতে না পারায় ওই রেস সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাধীনতা দিবসের শপথ সেটাই হওয়া উচিত বলে মনে করি।