নেত্রকোনায় ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে ইমাম আটক
২৭ মার্চ ২০২২ ২০:৪৯
নেত্রকোনা: পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বাড়লা বড় মসজিদের ইমাম তাজুল ইসলামকে আটক করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ।
গ্রেফতার ইমামের বাড়ি পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ সদর থানার সফিলা গ্রামে। এই গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে তিনি।
রোববার (২৭ মার্চ) স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশ জানায়, আটক হওয়া তাজুল ইসলাম ৫/৬ মাস ধরে কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বাড়লা বড় মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করতেন। পাশাপাশি একই এলাকার আয়শা সিদ্দিক মহিলা মাদরাসায় সকালে বাচ্চাদের মক্তবে পড়াতেন এবং এলাকার কেনু মিয়ার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। প্রতিদিনের মতো রোববার সকালেও এলাকার ছোট ছোট বাচ্চারা ওই মাদরাসায় মক্তবে পড়তে যায়।
সকালের মক্তব পড়ার শেষে সব বাচ্চাদের ছুটি দিয়ে ভিকটিম ও অন্য একজন ছাত্রকে ইমাম তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পাশের বাড়ি থেকে সকালের খাবার এনে দিতে।’
ইমাম তাজুল ইসলামের কথা মতো ভিকটিম ও তার সহপাঠী পাশের এক বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে কেনু মিয়ার বাড়িতে আসার পর ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন ইমাম তাজুল ইসলাম। পরে ভিকটিম ও তার সহপাঠীকে ইমাম বলেন তার হাত পা,টিপে দিতে।
একপর্যায়ে ইমাম ভিকটিমকে ইমামের ঘরে রেখে সহপাঠীকে বলে পাশের ঘরে চলে যেতে। এরপর ইমাম তাজুল ইসলাম ভিকটিমকে বলাৎকার করে। পরে ভিকটিম তার পরিবারের লোকজনকে জানালে এলাকার লোকজন ওই মসজিদের ইমামকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয় পরে পুলিশ ইমামকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
কেন্দুয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সুমন তালুকদার বলেন, ‘স্থানীয়রা প্রথমে ইমামকে আটক করে খবর দেয়। আমরা তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসি। পাশাপাশি ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভিকটিমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, মসজিদে ইমাম তাজুল ইসলাম ভিকটিমকে বলাৎকার করেছেন। ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা এবং পরিবারের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এমও