নাটোরে সন্তান হত্যা: বাবা ও সৎ মায়ের সাজা কমে যাবজ্জীবন
৩০ মার্চ ২০২২ ২১:১৩
ঢাকা: নাটোরের বড়াইগ্রামে ২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট শিশু ইয়াসিন আরাফাত ইমন (৮) হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বাবা ইমদাদুল হক মিলন ও সৎ মা নাহিদার সাজা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৩০ মার্চ) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শাহানা সাঈদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি জানান, ইমন হত্যায় দুইজনের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। কারণ এই ঘটনার চাক্ষুষ সাক্ষী ছিল না। দুজনের মধ্যে কে হত্যা করেছেন, সেটিও নির্দিষ্ট নয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়ারী ইউনিয়নের কামারদহ গ্রামে বাবা ইমদাদুল হক মিলন ও সৎ মা নাহিদা বেগম শ্বাসরোধে ইমনকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই ইমনের মা কুলসুমা বেগম থানায় মামলা করেন। এ মামলায় বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত ইমদাদুল হক ও নাহিদা বেগমকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ইমদাদুল জেল আপিল করেন। কিন্তু পলাতক থাকায় নাহিদা আপিল করেননি।
আজ হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ পরিবর্তন করে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে