হত্যা-ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় অভিযানে নামছে ডিএমপি
১ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫৪
ঢাকা: সম্প্রতি রাজধানীতে হত্যা-ছিনতাইসহ গুরুতর অপরাধের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবছরের মতো রমজান সামনে রেখে বেড়েছে টানা পার্টি, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্যও। এ অবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি বলছে, এই অভিযানের ফলে রাজধানীতে অপরাধের মাত্রা কমে আসবে।
গত ২৮ মার্চ ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম অধস্তন কর্মকর্তাদের দেওয়া নির্দেশনায় বলেছেন, রাজধানীতে সম্প্রতি সবধরনের অপরাধের মাত্রা বেড়েছে। এ সব নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির সকল ইউনিটকে একযোগে মাঠে নামতে হবে। টহল বাড়াতে হবে। পেট্টোলিং করতে হবে। অপরাধীদের পাকড়াও করতে হবে। পরোয়ানা থাকা আসামিদের কোনোরকম ছাড় না দিয়ে গ্রেফতার করতে হবে।
কমিশনার বলেন, ‘থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, সাদা পোশাকের পুলিশ ও সাইবার পুলিশ সবাই একযোগে মাঠে নামবে। কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না। অবিলম্বে অপরাধের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।’
ডিএমপির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বিশেষ অভিযানের ফলে অপরাধীরা কোণঠাসা হয়ে পড়বে। অপরাধের মাত্রা কমে আসবে। অনেক দিন ধরে বিশেষ অভিযান না হওয়ায় সম্প্রতি রাজধানীতে অপরাধের মাত্রা বেড়েছে। বিশেষ করে মাদক, ছিনতাই ও বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই অভিযান শুরু হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগের অভিযানগুলোতে কেউ কেউ বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। সেটি হয়ত এবার হবে না। খুবই সতর্কতার সঙ্গে অভিযান চালানোর নির্দেশনা এসেছে। পুলিশ সদস্যদের আরও বেশি কৌশলী ভূমিকা পালনের কথা বলা হয়েছে।’
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আকতার সারাবাংলাকে বলেন, ‘আসন্ন রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীতে ছিনতাইকারী, অজ্ঞানপার্টির অপতৎপরতা রোধে বিশেষ অভিযান চালাবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।’
তিনি বলেন, ‘রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে ছিনতাইকারী, অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা সক্রিয় হয়। ডিএমপি কমিশনার সকল ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছেন। ছিনতাইকারী, অজ্ঞানপার্টির সদস্যদের গ্রেফতারে আমরা বিশেষ প্রোগ্রাম (অভিযান) শুরু করতে যাচ্ছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুরনোর পাশাপাশি নতুন ছিনতাইকারীর জন্ম হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি পরবর্তী সময়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা সম্পর্কে আপনারাও অবগত। আমাদের সবসময়ই মনিটরিং আছে। শুধু ঘটনা ঘটলেই না, সবসময় মনিটরিং করি। সব ঘটনাই গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করি।’
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি রাজধানীর মতিঝিল বিভাগে দুটি মার্ডারের ঘটনা ঘটে। একটি চাঞ্চল্যকর মার্ডারের ঘটনায় কিলারকে গ্রেফতার করেছি। আরেকটি ঘটনাও ডিটেক্ট করা হয়েছে। মিরপুরেও দন্ত চিকিৎসক হত্যায় চারজনকে গ্রেফতার করা হলো। ছোট বড় সব ঘটনায় গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’
সারাবাংলা/ইউজে/এএম