কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি জি এম কাদেরের
২ এপ্রিল ২০২২ ১৮:২০
ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, দেশের ৬ কোটি মানুষের জন্য স্থায়ীভাবে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার জন্য সরকারকে একাধিকবার তাগিদ দিয়েছি। সরকার এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সরকার আমাদের কথায় কর্ণপাত করছে না। অচিরেই আমাদের জনগনকে বাঁচাতে কঠিন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এই আন্দোলনে নেতা কর্মীদের ত্যাগ স্বীকার করতে হবে ঝুঁকি নিতে হবে।
শনিবার (২ এপ্রিল) কাকরাইল জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবসংহতি ৩৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালির প্রাক্কালে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জি এম কাদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ঘোষণা করেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুব সংহতির সভাপতি আসিফ শাহরিয়ার। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সাইদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।
জি এম কাদের বলেন, ‘দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লাগামহীনভাবে চলছে। টিসিবি ট্রাকের দিকে তাকালেই বোঝা যায় দেশের জনগণ দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতির কারণে কত অসহায়। এভাবে চলতে থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। মানুষ না খেয়ে মারা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘রেশনিং ব্যবস্থা করতে সরকারের যে টাকা খরচ হবে, তার চেয়েও বেশি টাকা বিভিন্নখাতে অর্থহীনভাবে ব্যয় করছে অপচয় করছে। সরকার তার দলীয় নেতাকর্মীর প্রতিষ্ঠিত করতে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের নামে অহেতুক অর্থ বরাদ্দ করছে। এই টাকা দিয়ে দেশের ২ কোটি মানুষকে ভরণপোষণ করার দায়িত্ব নিতে পারে। সরকার তা করছে না। সরকারের কর্মকাণ্ডই বলে দেয় এই সরকার জনগণের সরকার নয়। যদি জনগণের সরকার হতো তাহলে জনগণের জন্য স্থায়ীভাবে রেশন ব্যবস্থা চালু করত।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার জনগণের সরকার না বলেই জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালন করছে না। জনগণের প্রতি অন্যায় করছে।’
জি এম কাদের বলেন, ‘জনগণের জানমাল রক্ষায় জাতীয় পার্টি অচিরেই কঠোর আন্দোলনে রাজপথে নামবে। সেই আন্দোলনে যুবসংহতিকে ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করতে হবে। ত্যাগ স্বীকার করতে হবে জীবনের ঝুঁকি নিতে হবে। সংক্ষিপ্ত সভা শেষে একটি রিলিজ হয় রিলিটি কাকরাইল মোড় ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। জি এম কাদের র্যালির নেতৃত্ব দেন।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে