ঢাকা: আদালত থেকে কারাগারে যাওয়ার পথে ইশরাক হোসেনের প্রিজন ভ্যানে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালত এই আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন— মনিরুজ্জামান মনি ওরফে মনির মাতব্বর, মো. রাসেল, মো. আলাউদ্দিন, ইমতিয়াজ হাসান জনি, ওবায়দুর রহমান পারভেজ, মো. ওলি, সোয়েব হোসেন, মো. ইমরান, শহিদুল হক ওরফে শহিদুল্লাহ, মো. সেন্টু ও কুতুব উদ্দিন মন্ডল ও আব্দুর রব।
আরও পড়ুন-
- বিএনপি নেতা ইশরাক গ্রেফতার
- জামিন নামঞ্জুর, ইশরাক কারাগারে
- ইশরাককে প্রিজনভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেওয়া চেষ্টা, আটক ৫
একই মামলার আসামি ইমরান হোসেন মাসুদ, গোলাম মোস্তফা পিয়ার, আশরাফ উদ্দিন, শাকিল আহম্মেদ মিলন, মো. মাসুদ ও ইব্রাহীমকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। এই আসামিরা আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার ১৮ নেতাকর্মীকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একই থানার উপপরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির।
শুনানি শেষে বিচারক ১২ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড ও বাকি ছয় জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, গতকাল বুধবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে মতিঝিল থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, ওই মামলার আসামি ইশরাক ওই বছরের ১৮ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে গত বছরের ৫ জানুয়ারি জামিন পান তিনি। এরপর ১৮ আগস্ট অসুস্থ থাকায় আশরাক আদালতে হাজির হতে পারেননি। ওই দিন আদালত তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এদিকে, ইশরাককে গ্রেফতারের পর আদালতে নেওয়া হলে তিনি জামিন আবেদন করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে ইশরাককে প্রিজন ভ্যানে করে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। পথে সিএমএম আদালত সংলগ্ন রায় সাহেব বাজার মোড়ে তার প্রিজন ভ্যানে হামলা করেন ইশরাক সমর্থকরা, তাকে ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় সংঘর্ষে পুলিশসসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।