নির্বাচনে কাউকে আনা না আনা সরকারের দায়িত্ব না: ওবায়দুল কাদের
৮ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৪১
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে কাউকে আনা না আনা সরকারের দায়িত্ব না। আইন অনুযায়ী, নির্বাচন পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে- জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। আর এদেশের মানুষের হৃদয়ের আবেগ ও অবিভাজিত বোধের এক অপরাজেয় শক্তির নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কারো কাছে ধরনা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।’
মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যের বিপরীতে বিভেদের অপরাজনীতির প্রচলন করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, বিদেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কোনো প্রভু নেই। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত এই পথেই আওয়ামী লীগ সরকার পররাষ্ট্র নীতি পরিচালনা করে। যেখানে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থই মূল বিবেচ্য বিষয়।’
দেশের মানুষের কল্যাণ কিংবা দেশের স্বার্থ রক্ষায় আপোষহীন মনোভাব পোষণ করায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘অন্যদিকে বিএনপির রাজনীতিতে বিদেশ নির্ভরতা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তাদের নেতা দেশ থেকে টাকা পাচার করে বিদেশে পালিয়ে থেকে আয়েশি জীবনযাপন করছে। এমনকি কোনো কোনো দেশের সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকায় তাদের দূতাবাস খোলার আগেই বিএনপি নেতারা ফুল ও মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়। বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতাদের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা লোটার অপচেষ্টাও করেছে বিএনপি। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজশে যে কোনো উপায়ে তারা ক্ষমতা দখল করতে চায়।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যেকোনো উপায়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত বলেও বিবৃতিতে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।
সারাবাংলা/এনআর/এমও