বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় গুলিতে যুবকের মৃত্যু
১৩ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৪৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: নিষিদ্ধ জাল দিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে, নিষিদ্ধ জাল জব্দের সময় হামলার জেরে কোস্টগার্ড গুলি চালিয়েছে। তবে কোস্টগার্ড অভিযোগ নাকচ করে বলেন, সেখানে তারা কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা ছত্তার মাঝির ঘাটের পশ্চিমে সাগরে এ ঘটনা ঘটে বলে নৌ পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত মো. রাসেল (১৮) রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাটুয়া পাড়া গ্রামের মো. রফিকের ছেলে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া নৌ পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের আনোয়ারার বার আউলিয়া ঘাট ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন সারাবাংলাকে জানান, রাসেলসহ স্থানীয় একদল মৎস্যজীবী বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার জন্য বাঁশের খুঁটিতে পেকুয়া জাল বসায়। মৎস্য আইন অনুযায়ী পেকুয়া জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সঙ্গী মৎস্যজীবীরা রাসেলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গহিরা বেড়িবাঁধে নিয়ে আসেন। তাকে দ্রুত আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছে? জানতে চাইলে এসআই নাসির বলেন, ‘গহিরা বেড়িবাঁধ থেকে ঘটনাস্থল দেখা যায়। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, রাসেলসহ কয়েকজন জেলে জাল বসানোর পর কোস্টগার্ডের একটি টিম সেগুলো জব্দ করার জন্য যায়। তখন জেলেদের সঙ্গে কোস্টগার্ডের সদস্যদের তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে কোস্টগার্ড সদস্যরা গুলি করেন। এতে রাসেল গুলিবিদ্ধ হয়।’
তবে স্থানীয়দের এই দাবি নাকচ করে কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের সাঙ্গু কন্টিনজেন্ট কমান্ডার সাজু আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘গহিরায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবকের মৃত্যুর তথ্য আমরা পেয়েছি। তবে আমাদের কোস্টগার্ডের কোনো টিম সেখানে কোনো ধরনের অভিযানে ছিল না। সেখানে আমাদের কোনো টহল টিমও ছিল না। কে বা কারা গুলি করেছে, এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
নৌ পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কীর্তিমান চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটি আমরা নিশ্চিত নয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হবে। তদন্তে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম