পোষ্য কোটাসহ অবসরের বয়সসীমা ৬২ চান সরকারি কর্মচারীরা
১৬ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৫১
ঢাকা: নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন, পোষ্য কোটা চালু, অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছরসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদ।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদের মহাসচিব মো. আমজাদ আলী খান লিখিত বক্তব্যে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন।
সাত দফা দাবিগুলো হচ্ছে—জাতীয় স্থায়ী বেতন কমিশন গঠন পূর্বক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ১৯৭২ সালের ১০ ধাপে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। এবং সর্বোচ্চ বেতনের পার্থক্য দেড় হাজার টাকা হতে হবে। পূর্বের মতো শতভাগ পেনশন প্রথা পুনর্বহাল করতে হবে। নবম পে-স্কেল প্রদানের আগ পর্যন্ত দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করা; সরকারি কর্মচারীদের আগের মতো ৩টি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও বেতন সমতাকরণ পুনর্বহাল করা। জীবন যাত্রার মান সমন্নত রাখার স্বার্থে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে পেনশনের হার ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ ও গ্রাচ্যুইটির হার টাকায় ১=২৩০ টাকার স্থলে ১=৪০০ টাকায় উন্নীত করা; এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি চালুসহ সচিবালয়ের মতে সচিবালয়ের বাহিরে সকল সরকারি কর্মচারিদের সিলেকশন গ্রেডসহ পদবী ও বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। ব্লক পোস্টধারীদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে; আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। বিভিন্ন সরকারী দপ্তর/প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের হয়রানি মূলক বদলি আদেশ, অত্যাচার-নির্যাতন মূলক ও মিথ্যা মামলা বন্ধ /প্রত্যাহার করতে হবে; ক্যাডারে কর্মরত কর্মচারিদের মতো প্রজাতন্ত্রের সরকারি কর্মচারীদের বিনা সুদে ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা গৃহ নির্মাণ ঋণ দিতে হবে এবং চাকরিতে প্রবেশ বয়সসীমা ৩২ বছর এবং অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ন্যায় সকল দপ্তরে পোষ্য কোটা চালু করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই ৭ দফা দাবি নিয়ে আগামী ১১ মে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী কার্যলয়ে স্মারকলিপি প্রদান করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের উপদেষ্টা মো. মহিউদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে দীর্ঘ সময় ধরে কর্মচারীদের অধিকার আদায়ে এই সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। যতক্ষণ দেহে প্রাণ থাকবে ততক্ষণ লড়ে যাব কর্মচারী বন্ধুদের দাবি আদায়ে। দাবি আদায়ের জন্য আগামী ১১ মে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সকল হতাশা থেকে মুক্তি দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সভাপতি মো. মতিউর রহমান, উপদেষ্টা মো. মহিউদ্দিন, মো. বরকত খান, কার্যকরী সভাপতি আসকার ইবনে শায়েখ খাজা, সহ-সভাপতি মো. ইব্রাহীম প্রমুখ।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ