৫৪টি নদীকে দূষণমুক্ত করতে আইনি নোটিশ
১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৮:০৮
ঢাকা: দেশের বিভিন্ন জেলার ৫৪টি নদীকে দূষণমুক্ত করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
দেশের যে ৫৪টি নদী দূষণমুক্ত করতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে সেগুলো হলো—বুড়িগঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, ধলেশ্বরী, মেঘনা, বালু, আড়িয়াল খাঁ, ময়নাকাটা, বিলপদ্ম, কীর্তিনাশা, সুতি, পারুলি, চিলাই, কালিগঙ্গা, পদ্মা, বানার, লৌহজং, বংশী (ঢাকা বিভাগ); যমুনা, করতোয়া, গঙ্গা, আত্রাই, নারোদ, ইছামতি (রাজশাহী বিভাগ); তিস্তা, খড়খড়িয়া (রংপুর বিভাগ); ক্ষীরু (ময়মনসিংহ বিভাগ); কর্ণফুলী, হালদা, বিল ডাকাতিয়া, তিতাস (চট্রগ্রাম বিভাগ); ময়ূর, ভৈরব, রুপসা, মাথাভাঙ্গা, পশুর, কাকশিয়ালী, গড়াই, মধুমতি, কুমার (খুলনা বিভাগ); কীর্তনখোলা, সুগন্ধা, লোহালিয়া, তেঁতুলিয়া, খাকদোনা, শিববাড়ীয়া (বরিশাল বিভাগ); সুরমা, কুশিয়ারা, সুতাং, সোনাই, কোরাঙ্গী, বরাক, ধোলাই (সিলেট বিভাগ)।
নোটিশে এসব দূষিত নদীসমূহকে দূষণমুক্ত করতে একটি সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের দাবি জানানো হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প সচিব, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি সচিব, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি সচিব, অর্থ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক; পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (বিজি) এবং বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বেলার নোটিসে নদীসমূহের দূষণের উৎস চিহ্নিতকরণ ও দূষণকারীর পূর্ণ তালিকা প্রস্তুত ও দূষণ প্রতিরোধ, দূষণকারীকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদান ও ক্ষতিপূরণ আদায় এবং অতি দূষিত ও প্রাণহীন নদীগুলোকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন ঘোষণা ও সেই অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার দাবি জানিয়েছে।
বেলা সরকারি বিভিন্ন সংস্থার গবেষণা, ব্যক্তি বিশেষের গবেষণা এবং সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ থেকে দূষিত নদীগুলো চিহ্নিত করে নোটিশটি প্রেরণ করে। এসব গবেষণায় ঢাকা ও আশেপাশের ছয়টি যথা: বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী ও মেঘনা নদী দূষণের ভয়াবহতা উঠে এসেছে।
এ ছাড়া চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, দেশের উত্তরাঞ্চলের করতোয়া, তিস্তা, আত্রাই, পদ্মা, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কীর্তণখোলা, রূপসা ও লোয়ার মেঘনা নদীসমূহের পানিতে থাকা মাত্রাতিরিক্ত ধাতু মাটির উর্বরতা বিনষ্ট করছে। সেচ কাজে এ পানি ব্যবহারের ফলে খাদ্যের মাধ্যমে মাত্রাতিরিক্ত ভারী ধাতু মানবদেহে প্রবেশ করে মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। লোয়ার কুমার, ধলেশ্বরী, বালু, সুতি, পারুলি এবং চিলাই নদীতে শিল্প দূষণে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে মর্মে গবেষণায় উল্লেখ রয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ