‘জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই’
১৯ এপ্রিল ২০২২ ১৯:২৩
ঢাকা: দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু। সেই জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বাংলামোটরে ওয়াটার ফল রেস্তোরাঁয় আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, গণতন্ত্র ধ্বংসকারী ভোটারবিহীন নির্বাচন ও ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারের অধীনে যেকোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ হবে আত্মঘাতী। এই সরকার গণতন্ত্র হত্যাকারী রাষ্ট্রের নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, তারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে।
তিনি বলেন, গণবিরোধী, জনস্বার্থবিরোধী ও মিথ্যাচারের এই সরকারকে হটিয়ে দুঃসহ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য একাত্তরের মতো আরেকটি ইস্পাতকঠিন জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। দুর্নীতি, দুঃশাসন ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার এই যুদ্ধে জিততে হবে। তা না হলে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্ব বরণ করে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হতে হবে। এ থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
গণফোরামের একাংশের এই নেতা বলেন, সরকারের একনায়কতন্ত্র ও কেন্দ্রীয়ভূত শাসনে গোটা জাতি আজ আমলাতন্ত্রের কাছে জিম্মি। দুঃশাসন ও দুর্নীতি আজ একে অন্যের পরিপূরক হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যার এক বিরাট অংশ দ্রুত দারিদ্র্যসীমার নিচে পতিত হচ্ছে। সর্বগ্রাসী দুর্নীতির সন্ত্রাসী আজ মহামারি আকার ধারণ করেছে। বৈষম্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন আজ দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সরকার এখন লুটেরা সিন্ডিকেট ও সুবিধাভোগী শ্রেণির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
জনগণের শাসনকেই এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ মনে করছেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু। তিনি বলেন, গণফোরাম বিশ্বাস করে— কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠার এখনই সময়। এটাই বাংলাদেশের জনগণের একমাত্র মুক্তির পথ। এর জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পন্ন সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং দেশপ্রেমিক জনগণের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর