চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে ছাত্রলীগ নামধারী উঠতি বয়সী কিশোর-তরুণদের দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এ সময় ছুরিকাঘাতে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর কোতোয়ালী থানার চেরাগি পাহাড় সংলগ্ন রাজাপুর লেইনে দয়াময়ী ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। এর আনুমানিক দেড়শ গজ দূরে নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের কার্যালয়। অথচ পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরেছে দুই ঘণ্টা পর।
নগর পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার মুজাহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, চেরাগি পাহাড়ে এত বড় একটি ঘটনা ঘটে গেল, কেউ আমাদের জানায়নি। খবর পেয়ে আমরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে একজনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত হই।
নিহত আসকার বিন তারেক (১৮) নগরীর বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবার নাম এসএম তারেক। নগরীর এনায়েত বাজারে জমির উদ্দিন ম্যানশনে তাদের বাসা।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর সারাবাংলাকে বলেন, কিশোর-তরুণ বয়সী কিছু ছেলে চেরাগি পাহাড়ে এবং আন্দরকিল্লায় আড্ডা দেয়। তাদের মধ্যে কোনো কারণে সন্ধ্যায় আন্দরকিল্লায় ঝগড়া হয়েছে। এরপর চেরাগি পাহাড়ের পেছনদিকে রাস্তায় গিয়ে তারা মারামারি করেছে। একজন ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মারামারিতে ‘সামান্য আহত’ কয়েকজনকে চমেকে পাওয়া গেছে জানিয়ে ওসি বলেন, তাদের থানায় নিয়ে যাচ্ছি। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারব। ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
চেরাগি পাহাড়ের স্থানীয়দের কাছে সংঘাতে জড়িতরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। শৈবাল নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সংঘাতে জড়িত এসব কিশোর-তরুণেরা নিয়মিত চেরাগি পাহাড়ের বিভিন্নস্থানে এবং কাউন্সিলরের বাসার সামনে আড্ডা দেয়। প্রায়ই তারা ঝগড়া-মারামারিতে লিপ্ত হয়। অধিকাংশই বখাটে প্রকৃতির এসব কিশোর-তরুণের অনেকেই মাদক সেবন করে।
এলাকার বাসিন্দারা বিভিন্নসময় কাউন্সিলরের কাছে এসব বিষয়ে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। বরং কাউন্সিলরের সঙ্গে তাদের বিভিন্ন মিছিল-সমাবেশে দেখা যায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।