Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্বজিৎ ঘোষকে পার পাইয়ে দেওয়ার চিন্তা খুব ভয়ংকর: নতুনধারা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৫ এপ্রিল ২০২২ ১৬:১৫

ঢাকা: ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের সত্যতা মেলার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষকে ‘বড় শাস্তি’র মুখোমুখি হতে হচ্ছে না। তাকে পার পাইয়ে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়াকে ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছে নতুনধারা বাংলাদেশ (এনডিবি)।

রোববার (২৫ এপ্রিল) দেওয়া এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে রাজনৈতিক সংগঠনটি এই মন্তব্য করে। পাশাপাশি যৌন নিপীড়ক শিক্ষক বিশ্বজিৎ ঘোষের দৃষ্টান্তমূলক সাজা ও এক কার্যদিবসের মধ্যে তার একুশে পদক প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেন, ‘একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশ্বজিৎ ঘোষ শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি অন্য দুশ্চরিত্র শিক্ষকসহ সবাইকে সতর্ক করতে পারত। কিন্তু তা না করে তাকে পার পাইয়ে দেওয়ার সুকৌশল আয়োজন করা হয়েছে। আমরা মনে করি— এ ধরনের ঘটনা যৌন নিপীড়কদের পক্ষ নেওয়ার শামিল। এই চর্চা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যৌন নিপীড়নকে আরও উসকে দেবে।’

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী অন্যরা হলেন নতুনধারার প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান আজাদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিপুন মিস্ত্রী, জাতীয় মহিলাধারার যুগ্ম আহবায়ক কলি চৌধুরী, জাতীয় শিক্ষাধারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি তিলোত্তমা তিথি প্রমুখ।

আরও পড়ুন
বিশ্বজিৎ ঘোষের একুশে পদক বাতিলের দাবি
ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন—ঢাবি শিক্ষক বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
ছাত্রীকে যৌন-নিপীড়ন: ‘বড় শাস্তি’ থেকে পার পাচ্ছেন বিশ্বজিৎ ঘোষ

বিবৃতিতে আরও বলা হয়— নারী নিপীড়ক-ধর্ষকদেরকে যদি বিভাগীয় তদন্ত আর অগ্রসরতার ভিত্তিতে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়; তা হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য খুব ভয়ংকর। এমন নিপীড়ক-শিক্ষকদের অপরাধকে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। এদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

 ড. বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি। তাকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে ইস্তফা দেওয়া হয়। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে উত্থাপনের সুপারিশ ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে একাডেমিক কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এই অভিযোগ পাঠানো হবে না।

অভিযোগকারী শিক্ষার্থী বিশ্বজিৎ ঘোষের আর কোনো অধিকতর শাস্তি চায় না বলেও একাডেমিক কমিটির সভা জানিয়েছে।

বিশ্বজিৎ ঘোষ বাংলা বিভাগকে এরইমধ্যে তার নামে বরাদ্দ হওয়া রুমের চাবি বুঝিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা একাডেমিক কমিটিকে জানিয়েছেন অধ্যাপক ঘোষ।

সারাবাংলা/একে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ বিশ্বজিৎ ঘোষ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর